Medical College Kolkata: মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ-ঘেরাও, অসুস্থ হয়ে পড়লেন কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 05, 2022 | 11:36 PM

Kolkata: স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজ যেহেতু স্বশাসিত সংস্থা নয়, তাই আইন শৃঙ্খলার বিষয় ও নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত এখনও মেলেনি।

Medical College Kolkata: মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ-ঘেরাও, অসুস্থ হয়ে পড়লেন কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান
মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান।

Follow Us

কলকাতা: ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Kolkata) অধ্যক্ষ, এম‌এসভিপি-সহ বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠল সোমবার। এদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার আগে সোমবার নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যক্ষের অফিসে বৈঠকের কথা ছিল। সেইমতো তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে যান। ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেখানে গেলে অধ্যক্ষের অফিস থেকে জানানো হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। অভিযোগ, একইসঙ্গে বলা হয় মৌখিকভাবে অন্য ডাক্তারি পড়ুয়াদের যেন তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই আপত্তি তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তারপরই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় মেডিক্যাল কলেজের করিডরে। তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই নির্বাচন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজ যেহেতু স্বশাসিত সংস্থা নয়, তাই আইন শৃঙ্খলার বিষয় ও নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত এখনও মেলেনি। সে কারণেই এখনই নির্বাচন সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, ছাত্র সংসদের নির্বাচন বাতিল হয়নি, স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে‌ ঘেরাওয়ের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান মনোরঞ্জন মণ্ডল।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজির চিকিৎসক সুহেনা সরকার বলেন, “এখানে আমাদের প্রিন্সিপালের ঘরে আটকে রাখা হয়। খুব খারাপ অবস্থা। আমার ছোট বাচ্চা আছে। আমি বারবার অনুরোধ করেছি। কলেজটা অচল করে দেওয়ার মতো অবস্থা করেছে। আমার এক সহকর্মীর ওটি রয়েছে, সে কথাও শুনতে চাইছে না। এমএসভিপি স্যর, ডেপুটি স্যর সকলে আটকে। কলেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনটাই অচল হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এর আগেও এরকম করেছে এরা। কিন্তু এটা তো কোনও রাস্তা নয়। একটা কলেজের স্যরদের আটকে, যেখানে স্যররা বারবার বলছেন আমাদের হাতে কিছু নেই। ভোট করানোর ক্ষমতা তো কলেজের নেই।”

Next Article