Kuntal Ghosh: ২০২২-এর OMR Sheet কুন্তলের বাড়িতে, ইডির কাছে জবাব তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 30, 2023 | 8:33 PM

Recruitment Scam: আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমেরারি পদ প্রথম থেকেই আদালতের নজরে।

Kuntal Ghosh: ২০২২-এর OMR Sheet কুন্তলের বাড়িতে, ইডির কাছে জবাব তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কুন্তলের ফ্ল্যাটে OMR Sheet। প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ইতিমধ্যেই কুন্তলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আবার ইডি সূত্রে সামনে এসেছে, কুন্তলের চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। সদ্য হয়ে যাওয়া প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল। এবার তা কার্যত মেনে নিল পর্ষদও। তবে তাদের বক্তব্য, এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না। সংবাদমাধ্যম থেকেই জানতে পেরেছে তারা। সোমবার টেট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কুন্তল ঘোষের বাড়িতে টেটের ওএমআর, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন এজলাসে তিনি প্রশ্ন করেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে, কী হচ্ছে এটা?” বিচারপতি মন্তব্য করেন, “কী করে কুন্তলের কাছে ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড গেল, তা ইডিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব।”

এদিন এজলাসে পর্ষদের আইনজীবী জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে ১৮৯টি ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। এরপরই পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি হয়?” কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেউ নিজে কিছু করবে না। আবার আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।” বিচারপতি বলেন, “কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করা হলে তাও বরদাস্ত করা হবে না।”

২০২২ এর পরীক্ষার ওএমআর শিট কুন্তলের বাড়িতে কীভাবে গেল, তা জানতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ইডিকে জানাতে হবে, কাদের অ্যাডমিট কার্ড কুন্তলের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে। প্রমাণ হলে সমস্ত সরকারি চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত করা হবে তাদের। নির্বাসন দেওয়া হবে পোর্ট ব্লেয়ারে। বিচারপতি বলেন, ‘আলাদা জমি দেবো, চাষ করে খাবে। এত সাহস কী করে হয়? জেলে পাঠানো হবে।’

আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমেরারি পদ প্রথম থেকেই আদালতের নজরে। এসএসসির ক্ষেত্রে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষায় যে অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন কুন্তলের প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও আরও একবার সেই কথাই উঠে এল বিচারপতির মুখে। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এসব পরিকল্পিত দুর্নীতি। যারা এই দুর্নীতির পরিকল্পনা করেছে, তারা সবটাই জানে।”

Next Article