
কলকাতা: দিন চারেক আগেই ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে কলকাতার কাউন্সিলর রামপেয়ারি রামের ছেলে রাম কিঙ্কর রামের। অভিযোগ উঠেছে, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় একটি পণ্যবোঝাই লরি উল্টে প্রাণ কাড়ে রামকিঙ্করের। সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন কাউন্সিলরের বাড়িতে। এর পরপরই রাতে বেহাল রাস্তা পরিদর্শনে বেরোলেন মেয়র পারিষদ (সড়ক) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ৪৩টি বেহাল রাস্তার তালিকা কলকাতা পুরনিগমকে দেওয়া হয়েছে। পুরনিগমও কলকাতার ১০০টি বেহাল রাস্তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করেছে। রাস্তাগুলির হাল হকিকত খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারে হাত পড়বে বলেই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত শনিবার খিদিরপুরে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় নিহত হন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রামপেয়ারি রামের ছেলে।
সোমবার দলীয় কাউন্সিলর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। সেখান থেকেই ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, খারাপ রাস্তা চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। এরপরই এদিন রাতে রাস্তা পরিদর্শনে বের হন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। যদিও খিদিরপুরের দুর্ঘটনার জন্য তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকেই দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে জানান, যে সমস্ত রাস্তা এখনও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি, পুজোর পর সেই সমস্ত রাস্তায় হাত দেওয়া হবে।
এদিন কলেজ স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে মেয়র পারিষদ (সড়ক) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনেক নতুন রাস্তা আমরা করেছি। এই কলেজ স্ট্রিটে কোনও সমস্যা নেই। রাতে যেহেতু ট্রাফিকের সমস্যা থাকে না, তাই রাতে পরিদর্শনে বেরিয়েছি। কোথাও কোনও ছোট ছোট খানাখন্দ থাকলে তা আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। রাস্তার কী অবস্থা সেটাও বুঝতে পারব। গাড়ি চললে সে সময় সেটা বোঝা মুশকিল হয়। সোমবার রাতে ৫ নম্বর বরো আর ৬ নম্বর বরো ঘুরে দেখব।” তবে তিনি জানান, খিদিরপুরের ঘটনার পর পরিদর্শন এমন নয়। ২২ অগস্ট থেকেই এই পরিদর্শন চলছে বলে দাবি করেন মেয়র পারিষদ। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন ৮ নম্বর বরোতে ঘুরছিলাম। শুনলাম খিদিরপুরে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য কিন্তু কলকাতা পুরনিগম দায়ী নয়। ওটা পুরনিগমের রাস্তা নয়। পোর্টকে বলা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের নম্বর ওরা প্রত্যেক বাতিস্তম্ভে টাঙিয়ে দেবে। ওরা একটা তদন্ত কমিটি বসিয়েছে। কিন্তু রাস্তাটা কেন খারাপ পোর্ট কেন তা জানতে পারল না?”