কলকাতা: এবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল রহস্যজনক কাগজ। যে কাগজে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে একাধিক সিরিয়াল নম্বর ও রোল নম্বরের মতোই কিছু সংখ্যা। তবে কি নিয়োগ-চক্রে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছেন গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী? বেহালায় হৈমন্তীর ঘরের বাইরে থেকে শনিবার এই কাগজ উদ্ধার হওয়ার পর ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। শিক্ষামহলের একাংশ এবং তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, এগুলো আসলে রোল নম্বরই। তবে কীসের এই নম্বর, তা এখনও ধোঁয়াশায় ঢাকা। এদিন আবর্জনার স্তূপে দু’টি কাগজ উদ্ধার হয়।
সাধারণত ৯ ডিজিটের রোল নম্বর হয় চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে। উদ্ধার হওয়া কাগজে ৯টি নম্বরই লেখা রয়েছে। এর আগে শুক্রবার ওই একই জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ছবির স্ক্রিপ্ট। এবার সেই নোংরা স্তূপ থেকেই উদ্ধার হল সন্দেহজনক কাগজ দু’টিও। এই স্তূপে পড়ে রয়েছে কম্বল থেকে শুরু করে একাধিক বাক্স, বস্তা, আরও কিছু। পড়ে রয়েছে বিয়ের কার্ড, ফাইলও। সেখানে অধিকাংশ কাগজেই নাম লেখা রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও।
ঠিক যেভাবে নিয়োগসংক্রান্ত রোল নম্বরের সঙ্গে থাকে সিরিয়াল নম্বর লেখা, ওই কাগজেও সেই আদলেই রয়েছে নম্বরও। পড়ে থাকা একাধিক ফাইল রহস্য বাড়াচ্ছে। এই নোংরার স্তূপ থেকেই পাওয়া গিয়েছে কিছু শেয়ারের কাগজও। যেখানে সই রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই কাগজে ঠিকানা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে, কাঠুরিয়াপাড়া উত্তর বাকসাড়া। অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ঠিকানা।
২০১৩ সালের একটি শেয়ার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মও পাওয়া গিয়েছে, বোর্ড অব ডিরেক্টরকে লেখা। বাবার নাম হিসাবে রয়েছে সাধনগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। এমনও কাগজে উল্লেখ রয়েছে, ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। আর এসবের মাঝেই পড়ে রয়েছে ওই নম্বর লেখা কাগজ। এই সিনেমার স্ক্রিপ্টও পড়ে সেখানে। যে ছবিতে হৈমন্তীর চরিত্রের নাম পারমিতা।