Teacher Transfer: কলকাতা বা তার আশপাশের স্কুলে বদলি চাইলেই হবে না, শিক্ষক বদলি নিয়ে এবার কড়া হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 20, 2023 | 3:06 PM

Calcutta High Court: ইতিমধ্যেই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের একটি পোর্টাল রয়েছে, নাম উৎসশ্রী। যদিও কোনও শিক্ষক অন্যত্র যেতে চান, তাহলে সেখানে আবেদন করতে পারেন।

Teacher Transfer:  কলকাতা বা তার আশপাশের স্কুলে বদলি চাইলেই হবে না, শিক্ষক বদলি নিয়ে এবার কড়া হাইকোর্ট
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কড়া নির্দেশ।

Follow Us

কলকাতা: শিক্ষক বদলি নিয়ে এবার কড়া অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রয়োজন পড়লে যে কোনও জেলার যে কোনও স্কুলেই যে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হতে পারে, আদালতের বক্তব্যে তা কার্যত স্পষ্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলাকালীন, তিনি মন্তব্য করেন, ‘কোনও জঙ্গল আইন চলতে পারে না। যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে, এবার থেকে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগ করেই হবে। কলকাতার শূন্য ছাত্রের স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ায় যেতেই হবে।’ শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে ‘প্রশাসনিক বদল’ সংক্রান্ত যে গাইডলাইন তাতেই মান্যতা আদালতের। অর্থাৎ এই আইন অনুযায়ী, যে কোনও শিক্ষককে প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারবে শিক্ষা দফতর। কলকাতায় যদি কোনও স্কুলে ছাত্র না থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে শিক্ষককে অন্য জায়গায় যেতে হবে। আইন করে এটা মেনে চলার কথা বলে আদালত।

ইতিমধ্যেই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের একটি পোর্টাল রয়েছে, নাম উৎসশ্রী। যদিও কোনও শিক্ষক অন্যত্র যেতে চান, তাহলে সেখানে আবেদন করতে পারেন। তারপর নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক সেই জায়গায় তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, অনেক সময় প্রবণতা দেখা যায়, বদলির নির্দেশিকার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষক চান কলকাতা কিংবা শহরতলিতে চলে আসতে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যিনি, যখনই এই মামলা শুনেছেন একই বক্তব্য রেখেছিলেন, এটাই যদি প্রবণতা হয়ে যায় তাহলে গ্রামের স্কুলের চিত্র ভয়াবহ হবে। এমনও দেখা গিয়েছে, ১০০র উপর ছাত্র থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন একজন। এমনকী একজনও অঙ্কের শিক্ষক সেখানে নেই। সেই স্কুলগুলির ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎও প্রশ্নের মুখে পড়তেই পারে। এমনকী সেই স্কুল যদি মাধ্যমিক হয়, পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে কী করে সে প্রশ্নও সামনে এসেছিল।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শুক্রবার তাঁর এজলাসে মামলা চলাকালীন এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য চান। জানতে চান, কেন এমন কড়া গাইডলাইন হবে না, যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোথায় বদলি করা হবে। এদিন এজি আদালতে জানান, শিক্ষাদফতর চাইলে তা পারে। এরপরই আদালত জানায়, শিক্ষা দফতর নির্দেশ দেওয়ার সাতদিনের মধ্যে তা পালন করতে হবে। শিক্ষক যদি না পালন করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে শিক্ষা দফতর।

Next Article