কলকাতা: নিমতলা শ্মশানে শবদেহ দাহ করতে গিয়ে গঙ্গার বানে তলিয়ে যান তিনজন। মঙ্গলবার বহু তল্লাশির পর একজনের দেহ উদ্ধার হয়। আহিরিটোলা ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয় সন্তোষ সোনকার (৪৭) নামে ওই যুবকের দেহ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চললেও জোয়ার আসার কারণে বিকেল অবধি তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়। সোমবার রাতে বেলেঘাটা থেকে নিমতলায় দেহ সৎকার করতে গিয়েছিলেন ওই শ্মশানযাত্রীরা। রাত ১১টা ১৫ নাগাদ বান আসার পর সবাই উঠে গেলেও সাতজন কিছুতেই উঠতে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ। তাঁরা সেলফি তুলছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী ঘাটের কর্তব্যরত পুলিশ বাধা দিলেও তাঁদের কথা তোয়াক্কা করেননি। এরপরই জলে পড়ে যান তাঁরা। যদিও কোনওভাবে চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় রাতে। তবে বাকি তিনজনের খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারী দল তল্লাশি শুরু করে। নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বেলার দিকে একজনের দেহ উদ্ধার হয় নিমতলা ঘাট থেকে কিছু দূরে আহিরিটোলা ঘাটে।
সোমবার রাতে বেলেঘাটা থেকে দেহ সৎকার করতে একটি দল নিমতলা ঘাটে যায়। এদিকে রাতে বান আসার সময় হলে গঙ্গার ঘাটে বারবার ঘোষণা করা হয়। নিরাপদ দূরত্বে সকলকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়। অভিযোগ, বাকিরা সেই ঘোষণা শুনে গঙ্গার পাড় থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু সাতজন কিছুতেই উঠে আসতে চাননি বলে অভিযোগ। এরপরই হঠাৎই জলের তোড় ধেয়ে আসে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় সাতজনকে। যদিও কোনওক্রমে তিনজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজনের খোঁজ নেই।
এই ঘটনা মনে করাচ্ছে দশমীর দিন জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের মাল নদীতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা। প্রতিমা বিসর্জন চলছি ঘাটে। হড়পা বানের আভাস পেয়ে ঘাটে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সতর্কও করেন। মাইকিং করে সকলকে বিপদসীমা থেকে সরে আসার জন্য বলা হয়। এরপরই ভয়াবহ হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যায় ৮ জনকে। আহত হন আরও অনেকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের।