Kunal Ghosh: ‘বাংলায় দাঁড়িয়ে বলছে বাংলা ভাষা শেখার লোক নেই?’, বেসরকারি স্কুলে বাংলা শিক্ষিকাকে ছাঁটাই নিয়ে সরব কুণাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 19, 2023 | 11:56 PM

Bengali Education: শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, "বাংলার জায়গা। সেখানে একজন শিক্ষিকাকে এটা বলে দেওয়া যায়?

Follow Us

কলকাতা: বাংলা পড়ার ছাত্র নেই স্কুলে, তাই বাংলার শিক্ষিকাকে স্কুলে আসতে মানা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের একটি বেসরকারি স্কুলের এমন ফরমানে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এলাকার লোকজনও অত্যন্ত খারাপ চোখেই দেখছেন এই বিষয়টি। ঘটনার নিন্দায় এবার মুখ খুলল রাজনৈতিকমহল, শিক্ষাবিদরাও। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে একটা স্কুল কীভাবে এমন ভাষা শিক্ষিকাকে চিঠি ধরালেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কর্তৃপক্ষেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন। নিন্দা করেছেন শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “যে বেসরকারি স্কুলটি এই কাণ্ড করেছে, হয়ত তাদের কোনও কারণে কাউকে চিঠি দেওয়া দরকার ছিল বা কোনও পদক্ষেপ করা দরকার ছিল। তা বলে বাংলায় দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষা শেখার লোক নেই, বাংলা ভাষার চাহিদা নেই, এসব কী কথাবার্তা? এটা কোনও স্কুলের ম্যানেজমেন্টের চিঠি। কেন লিখবেন এইভাবে? আর বাংলা কেন পড়বে না? কোনওভাবে যদি বাংলার পড়ুয়া কমতেও থাকে, সেই স্টুডেন্ট বাড়ানোটাও তো সেই স্কুলেরই ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। বাংলার শিক্ষককে আপনি চিঠি দিচ্ছেন! এটা সরকারি স্কুল নয়, কতটা কী বলা যায়, না বলা যায় সমস্যার ব্যাপার। তবে যে বেসরকারি স্কুল এই কীর্তি করেছে, তারা কোনও অবস্থায় ঠিক কাজ করেনি। যেখানে আমরা আরও বেশি করে বাংলাকে চাঙ্গা করতে চাইছি। নিশ্চিতভাবে ইংরাজি থাকবে, যারা হিন্দি পড়ে পড়বে, যে ভাষা পড়ে পড়বে। কিন্তু বাংলা শেখার আগ্রহ নেই বা ছাত্র নেই বলে বাংলার শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে আমি কর্মচ্যুত করব এটা সমর্থনযোগ্য নয়।”

অন্যদিকে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, “বাংলার জায়গা। সেখানে একজন শিক্ষিকাকে এটা বলে দেওয়া যায়? তাহলে এক সময় নিয়েছিলেন কেন? নিশ্চয়ই বাংলা শেখার লোক আছে। কিছু কম পড়েছে সেটা হতে পারে। কিন্তু তাই বলে সুযোগটাই নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। একটা স্কুলে সবরকম ব্যবস্থাই থাকা উচিত। আমি তো মনে করি হিন্দি প্রোমোট করার জন্য এটা করছেন। প্রাইভেট স্কুল কলেজে এটা হয়। যেটায় আমার পয়সা হচ্ছে না, অতএব সেটা ছেঁটে দাও। কিন্তু সব তো এত ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখলে চলে না। অবধারিতভাবে বলে মনে করি এটায় অন্যায় হয়েছে।”

অন্যদিকে যে শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, “আমি বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। সেই ভাষাকে অস্তিত্বহীন বলছেন, এটা তো আঘাত লাগার মতোই ঘটনা। ওনারা একজন শিক্ষিকাকে কর্মচ্যুত করবেন বলে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করলেন।” ওই স্কুলটি যে এলাকায়, সেখানকার বাসিন্দারাও বলেন, বাংলায় স্কুল চালাচ্ছেন, অথচ বলছেন বাংলার প্রয়োজনীয়তা নেই। এটা ভাবলেই অবাক লাগে। এখন সবই ব্যবসার ভাবনা নিয়ে চলে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।

কলকাতা: বাংলা পড়ার ছাত্র নেই স্কুলে, তাই বাংলার শিক্ষিকাকে স্কুলে আসতে মানা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের একটি বেসরকারি স্কুলের এমন ফরমানে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এলাকার লোকজনও অত্যন্ত খারাপ চোখেই দেখছেন এই বিষয়টি। ঘটনার নিন্দায় এবার মুখ খুলল রাজনৈতিকমহল, শিক্ষাবিদরাও। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে একটা স্কুল কীভাবে এমন ভাষা শিক্ষিকাকে চিঠি ধরালেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কর্তৃপক্ষেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন। নিন্দা করেছেন শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “যে বেসরকারি স্কুলটি এই কাণ্ড করেছে, হয়ত তাদের কোনও কারণে কাউকে চিঠি দেওয়া দরকার ছিল বা কোনও পদক্ষেপ করা দরকার ছিল। তা বলে বাংলায় দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষা শেখার লোক নেই, বাংলা ভাষার চাহিদা নেই, এসব কী কথাবার্তা? এটা কোনও স্কুলের ম্যানেজমেন্টের চিঠি। কেন লিখবেন এইভাবে? আর বাংলা কেন পড়বে না? কোনওভাবে যদি বাংলার পড়ুয়া কমতেও থাকে, সেই স্টুডেন্ট বাড়ানোটাও তো সেই স্কুলেরই ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। বাংলার শিক্ষককে আপনি চিঠি দিচ্ছেন! এটা সরকারি স্কুল নয়, কতটা কী বলা যায়, না বলা যায় সমস্যার ব্যাপার। তবে যে বেসরকারি স্কুল এই কীর্তি করেছে, তারা কোনও অবস্থায় ঠিক কাজ করেনি। যেখানে আমরা আরও বেশি করে বাংলাকে চাঙ্গা করতে চাইছি। নিশ্চিতভাবে ইংরাজি থাকবে, যারা হিন্দি পড়ে পড়বে, যে ভাষা পড়ে পড়বে। কিন্তু বাংলা শেখার আগ্রহ নেই বা ছাত্র নেই বলে বাংলার শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে আমি কর্মচ্যুত করব এটা সমর্থনযোগ্য নয়।”

অন্যদিকে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, “বাংলার জায়গা। সেখানে একজন শিক্ষিকাকে এটা বলে দেওয়া যায়? তাহলে এক সময় নিয়েছিলেন কেন? নিশ্চয়ই বাংলা শেখার লোক আছে। কিছু কম পড়েছে সেটা হতে পারে। কিন্তু তাই বলে সুযোগটাই নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়। একটা স্কুলে সবরকম ব্যবস্থাই থাকা উচিত। আমি তো মনে করি হিন্দি প্রোমোট করার জন্য এটা করছেন। প্রাইভেট স্কুল কলেজে এটা হয়। যেটায় আমার পয়সা হচ্ছে না, অতএব সেটা ছেঁটে দাও। কিন্তু সব তো এত ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখলে চলে না। অবধারিতভাবে বলে মনে করি এটায় অন্যায় হয়েছে।”

অন্যদিকে যে শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, “আমি বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছি। সেই ভাষাকে অস্তিত্বহীন বলছেন, এটা তো আঘাত লাগার মতোই ঘটনা। ওনারা একজন শিক্ষিকাকে কর্মচ্যুত করবেন বলে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করলেন।” ওই স্কুলটি যে এলাকায়, সেখানকার বাসিন্দারাও বলেন, বাংলায় স্কুল চালাচ্ছেন, অথচ বলছেন বাংলার প্রয়োজনীয়তা নেই। এটা ভাবলেই অবাক লাগে। এখন সবই ব্যবসার ভাবনা নিয়ে চলে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।

Next Article