
কলকাতা: বাংলার কৃষকদের করুণ পরিস্থিতি নিয়ে লাগাতার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সোজা চিঠি পাঠালেন নবান্নে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলায় পড়েনি। কিন্তু শীতের ‘অকাল বৃষ্টিতে’ মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। চাষের জমিতে জল ঢুকে গিয়েছে। এমন অবস্থায় আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে কালোবাজারির কারবার। এই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েই এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা। দু’পাতার ওই চিঠিতে বাংলার কৃষকদের বেহাল দশার কথা জানিয়ে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু।
সেই চিঠির কপি এক্স হ্যান্ডেলেও শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে তুলে ধরেছেন বৃষ্টির আগে ও বৃষ্টির পরে কীভাবে লাগামছাড়া হয়েছে আলু বীজের দাম। আলু বীজ কেনার দু’টি আলাদা রশিদের ছবি তিনি শেয়ার করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। একটি আজকের, অন্যটি ৩ ডিসেম্বরের। অর্থাৎ, মিগজাউমের জেরে বাংলায় অকাল বৃষ্টির আগে ও পরে। শুভেন্দুর শেয়ার করা ওই রশিদগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ৩ ডিসেম্বর আলু বীজের দাম নেওয়া হয়েছিল ১২০০ টাকা। আর আজ তা হয়ে গিয়েছে ২৮৫০ টাকা।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, এই বৃষ্টির কারণে পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলার আলু চাষিদের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমিতে জল জমে রয়েছে। কবে সেই জল নামবে, তা এখনও জানা নেই। ক্ষেতের আলু ক্ষেতেই পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা। রাজ্য সরকারের তরফে বৃষ্টির পূর্বাভাস নিয়ে পর্যাপ্ত প্রচার অভিযান না চালানোর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন শুভেন্দু। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকার যাতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়, সেই দাবি তুলেছেন তিনি।
মোট ৬ দফা দাবি তুলে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। কৃষকদের কুইন্টাল পিছু কতটা ক্ষতি হয়েছে, কতটা আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন, বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি ভর্তুকিযুক্ত মূল্যেই যাতে চাষিরা আলুর বীজ পান, সেই বিষয়ের দিকেও রাজ্যকে নজর দিতে বলেছেন তিনি।