Maheshtala: ইডেন সিটির ১০ তলা থেকে পড়া সেই শিশু এখনও সঙ্কটজনক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আবাসিকদের

Behala: আবাসিকরা অভিযোগ তোলেন, টাকার জন্য তড়িঘড়ি ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে।

Maheshtala: ইডেন সিটির ১০ তলা থেকে পড়া সেই শিশু এখনও সঙ্কটজনক, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আবাসিকদের
মহেশতলার সেই শিশু এখন আশঙ্কাজনক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 11:00 PM

কলকাতা: অভিজাত আবাসনের দশতলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম বছর আটেকের শিশু। মহেশতলা ইডেন সিটিতে (Maheshtala Eden City) দুর্ঘটনার পর ছোট্ট অন্বেষা ঘোষ এখনও হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের বক্তব্য, দশতলার উপর থেকে পড়ে যাওয়ার জন্য তাঁর মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। যেহেতু অন্বেষার বয়স একেবারেই কম, চিকিৎসকরা চাইছেন কিছুটা স্থিতিশীল হলে তারপরই অস্ত্রোপচার করতে। এখনও সে সঙ্কটজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের তরফে ও ইডেন সিটির আবাসিকরা মহেশতলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর আবাসনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এখানকার আবাসিকরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁদের একাংশ। আবাসিকদের বক্তব্য, এই আবাসনে নজরদারির অভাব রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার দায় কোনওভাবেই ইডেন সিটি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করতে পারে না।

একইসঙ্গে আবাসিকরা অভিযোগ তোলেন, টাকার জন্য তড়িঘড়ি ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে। পুরোপুরিভাবে কাজ শেষ না করেই ফ্ল্যাট তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। যে জায়গাটি থেকে অন্বেষা পড়ে যায়, সেই জায়গাটি একটি ছোট্ট প্লাস্টিক বোর্ড দিয়ে ঢাকা ছিল। শুধুমাত্র দশ তলায় নয়, একইভাবে ন’তলা, আটতলা, সাততলা, ছ’তলাতেও বোর্ড লাগানো ছিল। অভিযোগ, সেই বোর্ডে আঘাত খেতে খেতেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে পড়ে অন্বেষা।

সদ্য ফ্ল্যাট কিনে আবাসনটিতে আসে ঘোষ পরিবার। বৃহস্পতিবার ফ্ল্যাটে গৃহপ্রবেশের পুজো ছিল। বড়রা ব্যস্ত ছিলেন পুজোর কাজে। বাড়ির ছোট মেয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল। করিডরে খেলা করতে গিয়েই বিপত্তি। করিডর লাগোয়া ফায়ার এসকেপ হাইড্র্যান্টে পড়ে যায় অন্বেষা। উপর থেকে সোজা নীচে পড়ে যায়। অন্বেষার দিদি অহনা ঘোষের কথায়, “একটা বাচ্চার সঙ্গে আমার বোন খেলছিল। খেলতে খেলতে মাকে জিজ্ঞাসা করল করিডরে খেলবে কি না। মা বলল যেতে। গেটটা খুলতেই যে এমন হবে তা আমরাও ভাবতে পারিনি। আমরাই তো একদিন হল এসেছি। এখান থেকে জানানো হয়নি নীচে কী, ঢাকা না খোলা।”