কলকাতা: “লাগল কেমন ৯ ঘণ্টা? ভাইপো? দ্যাখ কেমন লাগে ভাইপো।” শনিবার রাতে কলকাতার থিয়েটার রোডে BJP-র একটি কর্মিসভা শেষে এই মন্তব্য করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতকাল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারই প্রেক্ষিতে খোঁচা দেন শুভেন্দু। যদিও, বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও উত্তর দেননি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর।
ফিরহাদের কথায়, “এগুলো রাজনৈতিক বিতর্ক। আমরা অত্যাচারিত, অপমানিত, বঞ্চিত। এজেন্সির অফিসাররাও বুঝতে পারছেন যে মিসিং ইউজ অব এজেন্সি হচ্ছে। এনারা আমাদের দেশের দক্ষ অফিসার। এদের সকলকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো উচিৎ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য নয়। এদের উচিত রবীন্দ্রনাথের নোবেল কোথায় গেল তা খোঁজা। এটা ওনারা পারেন। মাওবাদীরা কোথায় রয়েছে, কী কাজ করছে এই সব কাজে সিবিআই তদন্ত করা উচিৎ। দেশের টাকা নীরব মোদী, মহুল চোক্সি, বিজয় মালিয়া কোথায় নিয়ে চলে যাচ্ছে সেটা ইডি করে দেখতে পারে। তা না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যে এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।” পুরমন্ত্রীর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে অফিসারদেরও অপমান করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, “তদন্তকারী আধিকারিকরাও ব্যক্তিগত ভাবে বলেন এটা আমাদের কাজ নয় স্যর। কিন্তু কী করব। চাকরি করতে এসেছি।”
গতকাল প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বিজেপির মধ্যে আঁতাতের তত্ত্ব উস্কে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু এভাবে ডেকে পাঠিয়ে অভিষেক ও সিবিআই (CBI) উভয় পক্ষেরই সময় নষ্ট করা ছাড়া, আর কিছুই হচ্ছে না বলেই মনে করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি বলেন,”সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। তাঁদেরও সময় নষ্ট, আমারও সময় নষ্ট। নির্যাস হল অশ্বডিম্ব।”