কলকাতা: সদ্য শেষ হল রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election)। একদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র, অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। দু’টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু প্রথম থেকেই এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়কে কেন প্রার্থী করা হল তা নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছে, একইভাবে শিরোনামে উঠে এসেছে আসানসোলের ‘বহিরাগত’ প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার নাম। বহু হাতড়েও তাঁদের প্রার্থী করার কারণ খুঁজে পাননি সাধারণ মানুষ। অবশেষে সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কোন সমীকরণে বাবুল-শত্রুঘ্নকে বেছে নিল দল, TV9 বাংলায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তা জানালেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতির হাতেখড়ি বিজেপির কাছেই। তাঁর ‘জ্বালাময়’ ভাষণ নিয়ে তৃণমূলও একসময় সুর চড়িয়েছে। সেই বাবুল হঠাৎই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এমনকী বালিগঞ্জে প্রার্থীও হয়ে গেলেন। কেন?
সৌগত রায়ের কথায়, “বাবুল সুপ্রিয়র কাছে দলের একটা দায়বদ্ধতা ছিল। বাবুল সুপ্রিয় নিজে থেকে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূলে এসে যোগদান করেন। দলেরও তাই দায়বদ্ধতা ছিল তাঁকে কোথাও না কোথাও যুক্ত করা।” তা হলে কি পদের লোভেই বাবুল তৃণমূলে এসেছেন? সৌগত রায়ের জবাব, “সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে বাবুল তৃণমূলে যোগ দেন। চাইলেই পাঁচ বছর উনি সাংসদ থাকতে পারতেন। কিন্তু আমি বলব যে উনি এটা করে একটা ভাল উদাহরণ তৈরি করেছেন।”
কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহাকে কোন সমীকরণে প্রার্থী করা হল আসানসোলে? যে তৃণমূল একুশের ভোটের আগে ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে শান দিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছে, সেই তৃণমূলেরই মুখ রাজ্যের কাউকে করা গেল না কেন? সৌগত রায়ের ব্যাখ্যা, “উপনির্বাচনের জন্য স্বল্প সময় পাওয়া গিয়েছে। সেখানে শত্রুঘ্ন সিনহার মতো প্রার্থীকে পাওয়া মানে গ্ল্যামারটা প্লাস পয়েন্ট। কম সময়ে এটা কাজে লাগে। আমরা সেই সুযোগটা পেয়েছি। একটা মানুষকে ভোটারদের চেনাতে হবে না। শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলের প্রার্থী। যাঁকে সবাই চেনেন। তাছাড়া মোদী বিরোধিতায় তাঁর অবস্থান সকলেই জানেন।”
শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার কমে গিয়েছে। যে কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রেকর্ড ভোট, সেখানে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করে ভোট কাটা পড়েছে ঘাসফুলের। রাজনৈতিক মহলের কথায়, বাবুলের দলবদলের অতীত এই ভোটে প্রভাব ফেলেছে। তবে সৌগত রায়ের বক্তব্য, “বাবুল বালিগঞ্জে কোনও পরিচিত লোক নন। ওনার পরিচিতি সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে। মানুষ আশা করেন, বিধায়ক স্থানীয় হবেন। যেমন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন বালিগঞ্জের বাসিন্দা। ফলে বাবুল স্বল্প সময়ে নির্বাচনী প্রচার করে এই ভোট পেয়েছেন, সেটা ওনারও কৃতিত্ব, দলেরও কৃতিত্ব।”
যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট কমেছে তৃণমূলের। আর তার কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে বাবুলের রাজনৈতিক অতীত। বিজেপির হয়ে টালিগঞ্জে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি যা যা বলেছিলেন, কয়েক মাসের ব্যবধানে বালিগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে সে সুরেই বদল এনেছেন। ভোটাররা তা ভালভাবে নেননি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে সৌগত রায়ের কথায়, “ভোটের জন্য এই সময়টা ঠিক নয়। ৪৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। তারপর এই গরম। টোটাল ভোট পড়েছে মাত্র ৪১ শতাংশ। এই ভোট যদি ৬০-৬৫ শতাংশ পড়ত তা হলে বাবুল আরও ভোটে জিততেন। ফলে এত কম ভোটে বিশ্লেষণ করে কে কাকে কত ভোট দিয়েছে সেটা ঠিক বলা ঠিক হবে না।”
কলকাতা: সদ্য শেষ হল রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election)। একদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র, অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। দু’টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু প্রথম থেকেই এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়কে কেন প্রার্থী করা হল তা নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছে, একইভাবে শিরোনামে উঠে এসেছে আসানসোলের ‘বহিরাগত’ প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার নাম। বহু হাতড়েও তাঁদের প্রার্থী করার কারণ খুঁজে পাননি সাধারণ মানুষ। অবশেষে সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কোন সমীকরণে বাবুল-শত্রুঘ্নকে বেছে নিল দল, TV9 বাংলায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তা জানালেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতির হাতেখড়ি বিজেপির কাছেই। তাঁর ‘জ্বালাময়’ ভাষণ নিয়ে তৃণমূলও একসময় সুর চড়িয়েছে। সেই বাবুল হঠাৎই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এমনকী বালিগঞ্জে প্রার্থীও হয়ে গেলেন। কেন?
সৌগত রায়ের কথায়, “বাবুল সুপ্রিয়র কাছে দলের একটা দায়বদ্ধতা ছিল। বাবুল সুপ্রিয় নিজে থেকে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূলে এসে যোগদান করেন। দলেরও তাই দায়বদ্ধতা ছিল তাঁকে কোথাও না কোথাও যুক্ত করা।” তা হলে কি পদের লোভেই বাবুল তৃণমূলে এসেছেন? সৌগত রায়ের জবাব, “সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে বাবুল তৃণমূলে যোগ দেন। চাইলেই পাঁচ বছর উনি সাংসদ থাকতে পারতেন। কিন্তু আমি বলব যে উনি এটা করে একটা ভাল উদাহরণ তৈরি করেছেন।”
কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহাকে কোন সমীকরণে প্রার্থী করা হল আসানসোলে? যে তৃণমূল একুশের ভোটের আগে ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে শান দিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছে, সেই তৃণমূলেরই মুখ রাজ্যের কাউকে করা গেল না কেন? সৌগত রায়ের ব্যাখ্যা, “উপনির্বাচনের জন্য স্বল্প সময় পাওয়া গিয়েছে। সেখানে শত্রুঘ্ন সিনহার মতো প্রার্থীকে পাওয়া মানে গ্ল্যামারটা প্লাস পয়েন্ট। কম সময়ে এটা কাজে লাগে। আমরা সেই সুযোগটা পেয়েছি। একটা মানুষকে ভোটারদের চেনাতে হবে না। শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলের প্রার্থী। যাঁকে সবাই চেনেন। তাছাড়া মোদী বিরোধিতায় তাঁর অবস্থান সকলেই জানেন।”
শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার কমে গিয়েছে। যে কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রেকর্ড ভোট, সেখানে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করে ভোট কাটা পড়েছে ঘাসফুলের। রাজনৈতিক মহলের কথায়, বাবুলের দলবদলের অতীত এই ভোটে প্রভাব ফেলেছে। তবে সৌগত রায়ের বক্তব্য, “বাবুল বালিগঞ্জে কোনও পরিচিত লোক নন। ওনার পরিচিতি সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে। মানুষ আশা করেন, বিধায়ক স্থানীয় হবেন। যেমন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন বালিগঞ্জের বাসিন্দা। ফলে বাবুল স্বল্প সময়ে নির্বাচনী প্রচার করে এই ভোট পেয়েছেন, সেটা ওনারও কৃতিত্ব, দলেরও কৃতিত্ব।”
যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট কমেছে তৃণমূলের। আর তার কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে বাবুলের রাজনৈতিক অতীত। বিজেপির হয়ে টালিগঞ্জে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি যা যা বলেছিলেন, কয়েক মাসের ব্যবধানে বালিগঞ্জে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে সে সুরেই বদল এনেছেন। ভোটাররা তা ভালভাবে নেননি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে সৌগত রায়ের কথায়, “ভোটের জন্য এই সময়টা ঠিক নয়। ৪৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। তারপর এই গরম। টোটাল ভোট পড়েছে মাত্র ৪১ শতাংশ। এই ভোট যদি ৬০-৬৫ শতাংশ পড়ত তা হলে বাবুল আরও ভোটে জিততেন। ফলে এত কম ভোটে বিশ্লেষণ করে কে কাকে কত ভোট দিয়েছে সেটা ঠিক বলা ঠিক হবে না।”