
কলকাতা: কেন্দ্রে নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। তবে মমতা সরকার যে সেই জাতীয় শিক্ষানীতি মানছে না, তা আগেই বিধানসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আলাদাই শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করেছে রাজ্য। কী কী রয়েছে, নতুন রাজ্য শিক্ষানীতিতে, তা দেখে নিন এক ঝলকে…
এক. একাদশ দ্বাদশে ৪টে সেমিস্টার। শেষ ২ টো সেমিস্টারের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকে মূল্যায়ণ।
ব্যাখ্যা: বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ৪+৪+২+২ এই নীতিতে চলছে। অর্থাৎ প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি, পঞ্চম থেকে অষ্টম, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ, এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা নীতি বদল এনে করতে চায় ৫+৩+৪। অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষাটা তুলে দেওয়ার কথা বলেছে জাতীয় শিক্ষনীতিতে। কিন্তু বাংলা সরকার মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেনি। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্য়মিকে সেমিস্টার করে দিতে চাইছে রাজ্য। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চারটে সেমিস্টার, অর্থাৎ একাদশ শ্রেণিতে দুটো, দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটো। নম্বর নির্ধারিত হবে দ্বাদশ শ্রেণির দুই সেমিস্টারের ভিত্তিতে।
দুই. বাংলা-ইংরেজি- হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়া। তিনটে ভাষার মধ্যে ইংরেজি অপরিহার্য। ইংরেজি পড়ার মাধ্যম হলে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা-হিন্দি বা সংস্কৃত পড়ানোর প্রস্তাব।
ব্যাখ্যা: বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজ্য শিক্ষানীতিতে। রাজ্যের মত, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দ্বিভাষিক পঠনপাঠন করা যেতে পারে। স্টাডি মেটারিয়াল, যা আছে, তার ভিত্তিতেই হবে। দেখা যাচ্ছে, অনেক ছাত্রই ইংরাজিতে সড়গড় নয়। সেক্ষেত্রে ‘বাই লিঙ্গুয়াল’ হলে পড়ুয়াদেরই সুবিধা হবে। পাশাপাশি বাংলাকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ছে, তারা তো বাংলা শিখছে। যারা হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়বে, তারা হিন্দির পাশাপাশি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ হিসাবে বাংলা পড়বে। যারা ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ছে, তারাও ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ হিসাবে বাংলা, হিন্দি অথবা সংস্কৃত নেবে। মূলত বাংলাকে জোর দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
তিন. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় MCQ তে জোর
ব্যাখ্যা: এত দিন পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পার্ট ওয়ান থাকত MCQ। পার্ট টু বিস্তারিত প্রশ্ন। এবারের রাজ্য শিক্ষানীতিতে MCQ-এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।