BJP Sukanta Majumdar: সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির সামনে ধুন্ধুমার; বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ

BJP: স্লোগান ওঠে, 'সুকান্ত মজুমদার দূর হঠো'। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

BJP Sukanta Majumdar: সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির সামনে ধুন্ধুমার; বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ
নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 2:29 PM

কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ নিউটাউনে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিউটাউনের বাড়িতে ছিলেন। শনিবার সেখানেই বিক্ষোভ দেখান একদল জনতা। স্লোগান ওঠে, ‘সুকান্ত মজুমদার দূর হঠো’। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, তাঁকে এখান থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, “আমি সকাল থেকে বসে আছি। আমার পার্টি অফিসে যাব, হাওড়া যাব। সেখানে আমার কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব। কোনও লিগাল কারণ পুলিশ দেখাতে পারেনি। পুলিশ বলছে হাওড়াতে ১৪৪ ধারা আছে। তাই আপনাকে এখানে আটকানো হয়েছে। এটা কী করে হয়? যেখানে ১৪৪ ধারা সেখানে আটকাতে পারেন। যদি ১৪৪ ধারা ভাঙি তবে আটকাতে পারেন। তা না করলে কীভাবে আটকাতে পারে? আমি আমার ওকালতনামা সই করে আইনজীবীদের পাঠিয়েছি। তাঁরা মহামান্য আদালতের কাছে গিয়েছেন।”

এদিনও সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, পুলিশের ভূমিকা ‘দলদাসের মতো’। তাঁর বক্তব্য, “এখানে কোনও ১৪৪ ধারা নেই। এখানে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তারপরও পুলিশ এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।” এদিন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জনতা। তিনি ফিরে গেলেও তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাকে পুরোপুরি এখানে আটকে দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি, আবেদন জানাচ্ছি আমাদের ছাড়ার জন্য। পুলিশের হাতে এমন কোনও কাগজপত্র নেই, যে কারণে তারা আটকে দিতে পারে। জোর করে পুলিশ ধাক্কাধাক্কি করছে। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে সবাইকে মারধর করা হয়েছে। আমাকেও আঘাত করা হয়েছে। খুবই প্যাথেটিক সিচুয়েশন। মনে হচ্ছে পুলিশ পঞ্চায়েত ভোটের মহড়া চালাচ্ছে এখানে।”

ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, “এখানে মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের নিজেদের লোকের সঙ্গেই দেখা করতে দিচ্ছে না। আমাদের দলীয় কার্যালয়, অথচ আমাদেরই ঢুকতে দিচ্ছে না। সবাইকে শেষ করে দেবে এরা।”