AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Niladri Das: নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথাকে ধরেও কেন ‘ক্লিনচিট’ দিল CID? জানতে মাঠে নামছে CBI

CID: সূত্রের খবর, ওই তদন্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক এবং দুই সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে রাজ্য সিআইডি প্রধানকে চিঠি পাঠাচ্ছে সিবিআই।

Niladri Das: নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথাকে ধরেও কেন ‘ক্লিনচিট’ দিল CID? জানতে মাঠে নামছে CBI
নীলাদ্রি দাস।
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 6:47 PM
Share

কলকাতা: ২০১৯ সালে একটি প্রতারণার মামলায় সিআইডির (CID) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নীলাদ্রি দাস (Niladri Das)। পরে ছাড়াও পেয়ে যান। সেই নীলাদ্রি এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার। সিবিআইয়ের খাতায় নীলাদ্রির পরিচয়, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম বড় মাথা। যে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন নীলাদ্রি, সেই নাইসা গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য কাজ করেছে। গাজিয়াবাদের এই সংস্থা থেকেই গাদা গাদা ফাঁকা ওএমআর উদ্ধার করেছিল সিবিআই। সার্ভারে নম্বর পাঠানোর দায়িত্বে ছিল নাইসা। আর সেখানেই যা দুর্নীতি হওয়ার হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে। কারণ, নীলাদ্রি তাঁর জাল এক, দু’বছর আগে পাতেননি বলেই মত তদন্তকারীদের। তার বহু আদে থেকে এই কাজ চলছে। তাহলে ২০১৯ সালে সিআইডির হাতে যখন নীলাদ্রি গ্রেফতার হন, তখন কি কোনও আঁচই পায়নি রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডি? কারণ, সূত্রের দাবি, সিআইডির ক্লিনচিটেই সেই সময় এই নীলাদ্রি জামিন পেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে রাজ্য সিআইডির কাছে তথ্য চাইবে সিবিআই। নীলাদ্রি দাসকে কেন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল? সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে কীসের ভিত্তিতে নীলাদ্রিকে আদালতে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল, তাও জানতে চায় সিবিআই।

সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি পটাশপুর থানায় একটি এফআইআর হয়। প্রতারণা, ষড়যন্ত্রের ধারায় অভিযোগ দায়ের করে সিআইডি। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে বেশ কয়েকজনের নামে। সিআইডি সেই অভিযোগ দায়ের করেছিল। যদিও সেই এফআইআরে নীলাদ্রির নাম ছিল না। তবে যাঁরা অভিযুক্ত তাঁদের গ্রেফতার ও জেরাপর্বে উঠে এসেছিল এই নীলাদ্রির নাম।

সূত্রের খবর, ওই তদন্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক এবং দুই সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে রাজ্য সিআইডি প্রধানকে চিঠি পাঠাচ্ছে সিবিআই। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানায় নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের ৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে এফআইআর করে সিআইডি। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে নীলাদ্রিকে ২০১৯ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতার করে সিআইডি। সূত্রের দাবি, পরের মাসেই কলকাতা হাইকোর্টে সিআইডি জানায়, নীলাদ্রির বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। অথচ সেই নীলাদ্রির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আসছে এবার।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পালের বক্তব্য, “সিবিআই যদি ভবানী ভবনের কাছে নথি চায় তা তো আমরা স্বাগত জানাব। সেই নথিতে যদি কোনও পুলিশ আধিকারিকের কোনও গাফিলতি দেখা যায়, তাহলে ব্যবস্থা নিক না সিবিআই।”

যদিও বিজেপির মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “২০১৯-এর ৭ মার্চ নিলাদ্রিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। তার ৭-১০ দিনের মধ্যে তার জামিনের আবেদন করা হল। জামিনও পেলেন। অথচ এই চক্রটাকে যদি শাস্তি দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হতো সিআইডি থেকে, তাহলে এই দুর্নীতিটা এত দূর আসত না। বহু মানুষের টাকা বাঁচত। সিআইডিতে খোঁজ নিয়ে দেখুন, গোটা ফাইলটা ক্লোজ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যে কোর্টে এই মামলা চলছে, তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারি উকিল অ্যাপিয়ার পর্যন্ত করছেন না। বোঝাই যাচ্ছে নীলাদ্রি দাসের পিছনে সুপার ইনফ্লুয়েনশিয়াল কোনও মাথা কাজ করছে।”

সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের মন্তব্য, “গত ১২-১৩ বছর ধরে আমাদের রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প হয়নি, কলকারখানা হয়নি। সরকারি, আধা সরকারি ক্ষেত্রেও যে কয়েকটা চাকরি ছিল, সেই চাকরি নিয়েও ঘৃণ্য ব্যবসা হয়েছে। চাকরি বিক্রি করা হয়েছে।”