Fire Breakout: দাউ দাউ করে জ্বলছে একতলার ঘর, উপরে বৃদ্ধ দম্পতি, ছেলে… নিহত দুই

Birati: দমকলে দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন ভোরে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা।

Fire Breakout: দাউ দাউ করে জ্বলছে একতলার ঘর, উপরে বৃদ্ধ দম্পতি, ছেলে... নিহত দুই
উদ্বিগ্ন এলাকার লোকজন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 11:28 AM

বিরাটি: দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে আচমকাই নীচের ঘরে আগুন লেগে যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় পরিবারের দুই সদস্যর। একজন গুরুতর জখম। বিরাটির (Birati) মহাজাতিনগরের এই ঘটনায় এলাকায় শোকের আবহ। প্রতিবেশীর এমন পরিণতিতে একইসঙ্গে আতঙ্কের ছাপও এলাকার লোকজনের চোখে মুখে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আগুন দেখা যায় বিরাটি ১ নম্বর মহাজাতিনগরের একটি বাড়িতে। আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তাঁরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ততক্ষণে নিমতা থানা ও দমকলের অফিসেও খবর দেওয়া হয়।

দমকলে দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন ভোরে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এরপরই বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন ভয়াবহ সে দৃশ্য। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি, অনর্গল ধোঁয়া বের হচ্ছে একতলা থেকে। বহু চিৎকার করলেও ওই বাড়ির কারও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। এরপরই নিজেরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। এই বাড়িটি বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বয়স ৯২ বছর। তিনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকেন। বিদ্যুৎবাবু রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একটি ব্যাঙ্কের কর্মী।

বিজয়কুমারের পাশের বাড়িতেই থাকেন তপতী চৌধুরী। প্রৌঢ়া তপতীদেবী বলেন, “আমার দাদা যখন আওয়াজ পেল তখন ঘড়িতে ৪টে-৪টে ১০ বাজে। আমরা ভাবলাম চুরি করতে এসেছে বোধহয়, করাত দিয়ে কিছু কাটছে। এরপরই জানলাটা ফাঁকা করেছি। দেখি দাউ দাউ করে বাড়ির নীচে আগুন জ্বলছে। তখনই আমরা লাফ দিয়ে উঠে দরজা জানলা খুলে ডাকাডাকি শুরু করি। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। আমরাই জল দিই। এক বাড়ির পাম্প থেকে পাইপ নিয়েও জল দিই। পাশের বাড়ির একটা ছেলে দমকল, থানায় খবর দেয়। এরপর দমকল এসে আগুন পুরোপুরি নেভায়, ভাঙাচোরা যা করার করে।”

তপতীদেবীর কথায়, আগুন নিভিয়ে দমকলের কর্মীরা উপরের ঘরে গিয়ে দেখেন তিনজন পড়ে আছেন। এরমধ্যে বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা খুবই খারাপ। সকলকেই উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দু’জন মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তপতীদেবী বলেন , “লোকের মুখে মুখে শুনছি মারা গেছে দু’জন।”