কলকাতা: হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানির গ্রেফতারির পর রবিবার দিনভর হালিশহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাল সিবিআই। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। প্রায় ১০ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তদন্তকারীরা। এরপরই সুবোধ অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী, আপ্তসহায়ক ও গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা হয়। এদিন সন্ধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে আনা হয় তাঁদের। সঙ্গে ছিল সুবোধ অধিকারীর একটি গাড়িও।
রবিবার বীজপুর বিধানসভা এলাকার মোট ছ’জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। একইসময়ে ৬টি দল একযোগে ছ’জায়গায় তল্লাশি চালায়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে হালিশহর জেঠিয়াতে কমল অধিকারীর ফ্ল্যাটে, হালিশহর মঙ্গলদীপ, হালিশহর জেঠিয়াতে সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়িতে, জেঠিয়ায় অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতে হানা দেয় তারা।
সুবোধ অধিকারীর আপ্ত সহায়ক-সহ তিনজনকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। রাত ১০টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী ও সুবোধের গাড়ির চালক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান। সুবোধের যে গাড়িটি নিয়ে আসা হয়েছিল, সেটিও বেরিয়ে যায়। তবে সুবোধ অধিকারীর আপ্ত সহায়ক রবীন্দ্রর সিং রাত সাড়ে ১১টা অবধি পাওয়া খবরে সিজিও কমপ্লেক্সেই রয়েছেন। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলেই সূত্রের খবর।
এদিন রাতেই হালিশহরে সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করছে বিজেপি, তোপ পার্থর। এদিন সুবোধ অধিকারী বলেন, “কেউ তদন্তের জন্য আসতেই পারে। তবে আমরা যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস করি, আমি বিধায়ক, তাই বিরক্ত করছে। এখানকার বাড়ি, কলকাতার বাড়ি সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ‘নিল’ লিখে কাগজ জমা দিয়েছে।” এ নিয়ে পার্থ ভৌমিকের প্রতিক্রিয়া, “বাংলায় যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান শক্তি, তাঁর সৈনিকদের কীভাবে বিড়ম্বনায় ফেলা যায়, হেনস্থা করা যায়, কীভাবে বদনাম করা যায় এর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সকলকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা বাইরে থাকলে মানুষ কিন্তু তাঁর সঙ্গেই থাকবেন।”