কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে ‘অশান্ত’ বাংলা। অন্তত বিরোধীদের বক্তব্য সেটাই। রাজ্যে ইতিমধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন ১৩ জনের। মনোনয়ন পর্ব থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি, বোমাবাজি, গুলিচালনার ঘটনা। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলছেন ‘ছোট ঘটনা। হিংসার ঘটনা কম ঘটছে।’ তাঁর বক্তব্য, হিংসার ঘটনা এখনও অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে। ভোটের আগে রাজ্যে হিংসার বলি ১৩। গত ২৪ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও কীভাবে এমন দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাই।
রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু বাংলার অনেক ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হয়। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”
মঙ্গলবার বাংলার ডিজি বৈঠক করেন ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি ও বিহার ডিজিপি-র সঙ্গে। কেবলমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, আন্তঃরাজ্য যে ধরনের অপরাধগুলো হয়, তা নিয়ে সার্বিকভাবে আলোচনা হয়। সেখানে সাইবার ক্রাইম নিয়েও আলোচনা হয়। তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিজি। তাঁকে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ২-৩টি ছোট ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা সংবাদমাধ্যমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
রাজ্য নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের কর্মী। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তবে রাজ্য পুলিশ যে হিংসা দমনে কতটা সক্রিয়, তা নিয়ে খোদ প্রশ্ন উঠেছিল আদালতেও। তারপরই রাজ্য পুলিশের ডিজি-র এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ একাধিকক্ষেত্রে তুলতে দেখা গিয়েছে নিগৃহীত কিংবা নিহতের পরিজনদেরও।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে। “