West Bengal Police: রাজ্য পুলিশের দফতরের ‘রোবটের ছোঁয়া’, ডিজি-র নির্দেশ গঠিত হচ্ছে AI সেল

AI Cell in WB Police: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেল তৈরি হবে, এদিকে তাতে প্রযুক্তিবিদ থাকবে না, এমনকি হয়? রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, কারিগরী ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তার জন্য থাকবেন দু'জন বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ। যাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, মূল্যায়ন ও পরামর্শ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

West Bengal Police: রাজ্য পুলিশের দফতরের রোবটের ছোঁয়া, ডিজি-র নির্দেশ গঠিত হচ্ছে AI সেল
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেল গঠন করবে রাজ্য পুলিশImage Credit source: GROK AI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Oct 31, 2025 | 12:10 PM

কলকাতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভাবছে বাংলার পুলিশও। দক্ষতা বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই সঙ্গী করতে চাইছে তাঁরা। শুক্রবার রাজ্য় পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে সেই বার্তাই দিলেন ডিজি রাজীব কুমার। জারি করা হল নির্দেশিকা। কিন্তু কীভাবে পড়ানো হবে AI-এর পাঠ? কীভাবেই বা পুলিশের কাছে সঙ্গী হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?

সূত্রের খবর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI সেল গঠন করতে চলেছে রাজ্য পুলিশ। যার নেতৃত্বে থাকবেন একজন অতিরিক্ত ডিজি (এডিজি) পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। যিনি সেলের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অধীনেই নির্ধারিত হবে সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেলের কার্যপ্রণালী, নির্ধারণ হবে নীতিও। এছাড়াও সেলের সদস্য হিসাবে থাকবেন একজন আইজি, ডিআইজি বা এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। যাঁরা মূলত কাজের দায়িত্ব, সমন্বয়, ডকুমেন্টেশন ও সেলের অগ্রগতির কাজ করবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেল তৈরি হবে, এদিকে তাতে প্রযুক্তিবিদ থাকবে না, এমনকি হয়? রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, কারিগরী ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তার জন্য থাকবেন দু’জন বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ। যাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, মূল্যায়ন ও পরামর্শ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়াও প্রয়োজন পড়লে নিয়োগ করা হবে অতিরিক্ত বিশেষজ্ঞ এবং এই সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞ ব্য়ক্তিদেরও

কোথায় থাকবে এই বিশেষ সেল?

এই সেলের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন ডিজি রাজীব কুমার। রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানি ভবনেই গঠন করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেলটি। যার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক, প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে রাজ্য। প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর হবে বৈঠক। সেখান থেকেই রাজ্যের পুলিশের নীতি প্রণয়ন, কৌশলগত উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নির্ধারিত হবে। একইসঙ্গে, এআই ব্যবহারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একটি নীতিমালা তৈরির দায়িত্বও থাকবে সেলের ওপর। রাজ্য পুলিশের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত নানা প্রশিক্ষণ আয়োজনের দায়িত্ব থাকবে এই সেলেরই কাঁধে।