Jhalda Municipality: ঝালদা নিয়ে আবারও হাইকোর্টে কংগ্রেস, আজই মামলার শুনানি
Purulia News: ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভা। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ৫টি আসন পায়, তৃণমূলও পায় ৫টি আসন। বাকি ২টি জেতে দুই নির্দল প্রার্থী।
কলকাতা: কাউন্সিলর পদ খারিজ নিয়ে আদালতে যাবেন বলে ২৪ ঘণ্টা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ঝালদার (Jhalda Municipality) শীলা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেয় আদালত। শুক্রবারই বেলা ২ টোয় এই মামলার শুনানি হবে। ফলে ঝালদা পুরসভার জটিলতা যে আরও একবার আইনি জটে জড়াতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। পুরভোটের ফল প্রকাশ ইস্তক জটিলতার জটে জেরবার ঝালদা পুরসভা। বিশেষ করে প্রথম থেকেই নির্দলের দুই কাউন্সিলরের ভূমিকা আলাদা করে উল্লেখ করার মতো। কখনও তারা জোড়াফুলকে সমর্থন দিচ্ছে, কখনও আবার হাত বাড়াচ্ছে ‘হাত’ দেখে। কখনও তৃণমূল, কখনও কংগ্রেস, নির্দলদের মুহূর্মুহু শিবির বদলে বোর্ডটাই আর তৈরি করে উঠতে পারছে না কোনও দল। সঙ্গে আবার প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ। পুরসঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণই নেই।
১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভা। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ৫টি আসন পায়, তৃণমূলও পায় ৫টি আসন। বাকি ২টি জেতে দুই নির্দল প্রার্থী। দুই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকারের সমর্থনেই প্রথমে বোর্ড তৈরি করেছিল তৃণমূল। কিছুদিন পরই সোমনাথ কর্মকার সরব হন, ঝালদায় কোনও উন্নতি হচ্ছে না। তিনি সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেন। এরপর একই যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূলের বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান শীলাও।
কয়েক মাসের মধ্যেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। তাতে সমর্থন জানায় দুই নির্দল কাউন্সিলর। এরইমধ্যে নির্দলের সোমনাথ কর্মকার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদানও করেন। আস্থা ভোটে জয়ী হলেও সে সময় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করতে পারেনি। রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রশাসক বসানো হয় ঝালদা পুরসভায়। যা নিয়ে হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস।
সপক্ষে আদালতের রায় পাওয়ার পর বোর্ড গঠনেও উদ্যোগী হয় তারা। নির্দল শীলাকেই চেয়ারম্য়ান হিসাবে ঘোষণা করেন কংগ্রেস। পূর্ণিমা কান্দুকে উপপুরপ্রধান ঘোষণা করা হয়। বুধবারই এই ঘোষণা হয়। কিন্তু এরইমধ্যে মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদই খারিজ করে দেন। কারণ, আগেই ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেখানে দাবি করেছিলেন, শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদটি থাকবে না। সেই অনুযায়ী মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি হয় বুধবার। এরপরই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশ দেন তিনি। অস্থায়ী পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে। এরপরই কংগ্রেস আবারও হাইকোর্টে। শুক্রবারই শুনানি হবে এই মামলার।