
কলকাতা: সারদার আরও একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কুণাল ঘোষ। সারদা মিডিয়ার বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলা থেকে এর আগেই বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। এবার সাঁতরাগাছিতে দায়ের হওয়া সারদার একটি মামলায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ হয়ে গেল। রাজ্য পুলিশ কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ওই মামলায় প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল। সোমবার তা খারিজ করে দেয় এমপিএমএলএ বিশেষ আদালত। আদালতে জানানো হয়, এই দুই অভিযোগের ধারার সপক্ষে কুণালের কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই। এরপরই বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য রায় অভিযোগ খারিজের রায় দেন। তবে মামলার বাকি অংশের বিচার চলবে।
কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশে পর এই মামলা আবার হাওড়া জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চলে যাচ্ছে। কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যা যা অভিযোগ রাজ্য পুলিশের সিট এনেছিল, আদালত তা খারিজ করেছে। মামলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিচার চলবে। আপাতত মামলা হাওড়া কোর্টে ফিরে যাচ্ছে।”
সারদা দুর্নীতি মামলায় ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এর আগে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। আইপিএস রাজীব কুমারের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া রাজ্য পুলিশের এসআইটি (SIT) তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর একের পর এক ধারায় মামলা সামনে আসতে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন জেলেও থাকতে হয় বিচারাধীন কুণালকে। যদিও পরে তিনি জামিন পান।
প্রথম থেকেই কুণাল ঘোষের বক্তব্য ছিল তিনি একজন বেতনভোগী কর্মচারী ছিলেন সারদা মিডিয়ায়। এর বাইরে তিনি কোনও কিছুর সঙ্গেই যুক্ত নন। সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়ার বেতন ও পিএফ সংক্রান্ত মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। সে মামলা দীর্ঘদিন চলে। গত জুনে এই মামলায় মুক্তি পান। সেদিন বিচারক বলেছিলেন, ‘শুধু কুণাল নন, অভিযুক্ত সকলকেই ডিসচার্জড ঘোষণা করছি।’