AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bansdroni Shootout: পিঠে গুলি নিয়েই সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল বাঁশদ্রোণীর সেই তৃণমূল কর্মী, কী বলতে চেয়েছিল?

Bansdroni Shootout: বুলেটে চড়ে নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গ্রিন পার্ক এলাকাতে আসেন বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে দেখা করতে।

Bansdroni Shootout: পিঠে গুলি নিয়েই সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল বাঁশদ্রোণীর সেই তৃণমূল কর্মী, কী বলতে চেয়েছিল?
গুলিবিদ্ধ বাচ্চা সেই সিসিটিভি ফুটেজ (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2022 | 12:57 PM
Share

কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে দিনে-দুপুরে চলে গুলি। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni Shootout) ব্রহ্মপুর খ্রিস্টানপাড়ায় গুলি চলে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই গুলি চলে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জখম হয় দু’জন। একজন মলয় দত্ত অন্যজন বিশ্বনাথ সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ গুলি চলে। প্রথমে মলয় দত্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিশ্বনাথ ওরফে বাচ্চা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মলয় নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাচ্চাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে যায়। সেই সময় মলয়ের সঙ্গে এক সহযোগী ছিল। অভিযোগ, সে মলয়ের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিশ্বনাথকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি করার পর মলয়ের সহযোগী মলয়কে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, বাচ্চা গুলি বিদ্ধ অবস্থায় থানায় না গিয়ে বা হাসপাতালে না গিয়ে চলে যায় সোজা নরেন্দ্রপরের উদ্দেশে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! তাহলে কি সে কোনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছিল?

সূত্রের খবর, বাচ্চা ওই দিন গুলি খাওয়ার পর এসেছিল তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে দেখা করার জন্য। সেই সিসিটিভি ফুটেজও ইতিমধ্যে পেয়েছে পুলিশ। বুলেটে চড়ে নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গ্রিন পার্ক এলাকাতে আসেন বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে দেখা করতে। গোটা বিষয়টি জানার পর বিশ্বজিৎ দাস পুলিশকে ফোন করেন। তখন পুলিশ এসে বাচ্চাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে না গিয়ে থানায় না গিয়ে গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মী কেন নরেন্দ্রপুর চলে গেল । এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “গতকাল বাচ্চাদা এল। এসে দেখলাম পড়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপর শুনলাম গুলি লেগেছে। এর আগে একাধিকবার উনি ওই এলাকায় এসেছিলেন। বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে দেখা করতে।”

বস্তুত, গতকালের গুলি চলার ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান, বহুতলটির একতলায় মলয় দত্তর অফিস ঘর। সেখান থেকে এদিন সকালে গুলির শব্দ পান তাঁরা। গিয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মলয় দত্ত। কিন্তু কেন এই গুলি চলল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিন্ডিকেট বিবাদ নাকি এলাকা দখল নিয়ে বিবাদের, সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। ডিসি (এসএসডি) নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশও রয়েছে। স্থানীয় পুর প্রতিনিধিরাও পৌঁছন ঘটনাস্থলে।

আরও পড়ুন: Bansdroni Shootout: বাঁশদ্রোণীর শুটআউটের পিছনে কি লুকিয়ে রয়েছে পুরানো অন্ধকার ইতিহাস? জানুন কী হয়েছিল ২৫ বছর আগে