Bansdroni Shootout: বাঁশদ্রোণীর শুটআউটের পিছনে কি লুকিয়ে রয়েছে পুরানো অন্ধকার ইতিহাস? জানুন কী হয়েছিল ২৫ বছর আগে
Bansdroni Shootout: বাঁশদ্রোণীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার শিকড় লুকিয়ে রয়েছে প্রায় ২৫ বছর আগে। দক্ষিণ শহরতলিতে বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট, গড়িয়া নিয়ন্ত্রণ করত শাহজাদা এবং শেখ বিনোদ গোষ্ঠী।
সা য় ন্ত ভ ট্টা চা র্য
ফের গুলি কলকাতায়! ফের শোরগোল সিন্ডিকেট সংঘাত নিয়ে! এবার, বাঁশদ্রোণীতে! দিনেদুপুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গিয়েছে শহরের বুকে। আজ বাঁশদ্রোণীতে (Bansdroni Shootout) যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার শিকড় লুকিয়ে রয়েছে প্রায় ২৫ বছর আগে। দক্ষিণ শহরতলিতে বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট, গড়িয়া নিয়ন্ত্রণ করত শাহজাদা এবং শেখ বিনোদ গোষ্ঠী। এরা একে অপরের চরম শত্রু ছিল বলে জানা যায়। সেই সময় এই এলাকাটি বাংলা পুলিশের অন্তর্গত ছিল। তখন শেখ বিনোদের গোষ্ঠীর মধ্যেই ছিল এই বিশ্বনাথ সিং ওরফে পটলা। তার গোষ্ঠীর মধ্যে ছিল আরও একজন কুখ্যাত অপরাধী। যার বিরুদ্ধে বর্তমানে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সে এখন রিজেন্ট পার্ক এলাকায় এক বিখ্যাত জল এবং নির্মাণ ব্যবসায়ী। রাজ্যের এক মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় তার বাড়বাড়ন্ত। নিজেকে সমাজসেবী হিসেবে গণ্য করে ওই ব্যক্তি।
পরবর্তীকালে বিনোদ, পটলা এবং ওই সমাজসেবী পৃথক গ্রুপে পরিণত হয়। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন যাদবপুর থানার অন্তর্গত নাকতলাতে দুষ্কৃতীদের দাপটে দিশেহারা রাজ্য প্রশাসন এনকাউন্টারের নির্দেশ দিয়েছিল। পুলিশ রাতের অন্ধকারে অভিযান চালালে এই বাচ্চা ওরফে পটলা ওরফে বিশ্বনাথ সিং পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর পালানোর চেষ্টা করে। বিশ্বনাথ ছিল শেখ অন্যতম বড় শার্প শুটার। বাইকে করে সে পালাচ্ছিল। তার বাইকের পেছনে বসে ছিল পাসোয়ান নামে আরও এক দুষ্কৃতী। পুলিশের গুলিতে পাসোয়ান গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই ওই দুষ্কৃতী মৃত্যু হয়। যদিও বিশ্বনাথ পালিয়ে যায়। সেই সময় গোটা ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছিল।
তৎকালীন ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা বর্তমান সমাজসেবীর লোকজন বিশ্বনাথের যাবতীয় খবর পুলিশকে দিয়েছিল বলে তখন মনে করা হয়েছিল। বিশ্বনাথ যাতে গড়িয়া এবং রিজেন্ট পার্ক এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তাই পুলিশকে ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা বর্তমানে সমাজসেবী হিসাবে গণ্য হওয়া ব্যক্তি বিশ্বনাথের যাবতীয় খবর দিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করে বিশ্বনাথের অনুগামীরা। মলয় বলে যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে ওই সমাজসেবী তথা প্রোমোটারের অনুগামী। বিশ্বনাথ মাস খানেক আগে এলাকায় আবার ফিরে এসেছে। স্থানীয় মহলের একাংশ মনে করছে, পুরানো রাগ থেকেই সেই সমাজসেবীর পুরানো লোকদের টার্গেট করেছে।
এমনটাও শোনা যাচ্ছে, বিশ্বনাথ এলাকায় নিজের সিন্ডিকেট তৈরি করে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিল পর্দার আড়াল থেকেই। রেনিয়া, ব্রহ্মপুর, মেটে মসজিদ পাড়া, এবং ১১১, ১১২, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারপুর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে নিজের ক্ষমতা বিস্তার করেছিল। সেটা নিয়ে ক্রমশ দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাহলে কি পুরানো রাগ এবং নিজের ক্ষমতা বিস্তার… এই দুটি ঘটনাই আজকের গুলি কাণ্ডে অন্যতম নেপথ্য কারণ? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্য়েই উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : Madan Mitra: ‘সাত দিনের মধ্যে বাংলার ভোল পাল্টে দেবেন মমতা’, মদনের চ্যালেঞ্জে জোর জল্পনা