Kunal Ghosh: ‘দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত বাংলাই’, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের পরেও দাবি কুণালের

Kunal Ghosh : কুণাল ঘোষ বলেন, "বহু ক্ষেত্রেই খবর নিলে দেখা যাবে পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ইতিবাচক ফল দিচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত বাংলা এমনি এমনি হয় না।"

Kunal Ghosh: 'দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত বাংলাই', রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের পরেও দাবি কুণালের
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2022 | 8:39 PM

কলকাতা : ‘সারা দেশের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে সবথেকে সুরক্ষিত বাংলাই।’ মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি নিয়ে কুণাল বাবুকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন পুলিশ আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারছে না? কেন ঘটনা ঘটার পর পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে?  তার জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “ঘটনা আটকানোর ক্ষেত্রেও প্রশাসন যথাসম্ভব যা যা করার তা করছে। বহু ক্ষেত্রেই খবর নিলে দেখা যাবে পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ইতিবাচক ফল দিচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত বাংলা এমনি এমনি হয় না।” উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে নামখানা, শান্তিনিকেতন, হাঁসখালি, পিংলা, ময়নাগুড়ি, মাটিয়া – একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। হাঁসখালির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের। বিরোধীরা রাজ্যকে কোণঠাসা করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছে না। এরই মধ্যে তৃণমূল মুখপাত্রের এই বক্তব্য ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

কলকাতার বুকে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ফের একবার প্রকাশ্যে। গতকাল লেক গার্ডেন্স। একেবারে সাংসদ সৌগত রায়ের পাড়ায়। আর মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণীর শুটআউটের ঘটনাতেও সিন্ডিকেট সংক্রান্ত একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। রাজ্যের সামগ্রিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনও তিক্ত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এলাকা একেবারেই ঠিকঠাক আছে।”

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন প্রকাশ্যে বলেছেন। সব প্রশাসককেই এটা বলতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই কথা বলেছেন। কঠোরভাবে পুলিশ সেগুলি দেখছে। কিন্তু কারও যদি লাইসেন্স থাকে, সেও যদি গুলি চালিয়ে বসে, তাহলে সেটা থামাতে যাবে কে? দুম করে কেউ যদি কিছু করে বসেন, তাহলে সেটার তদন্ত করবে পুলিশ। যা যা করার পুলিশ নিশ্চিতভাবে করছেন।”

আরও পড়ুন : Madan Mitra: ‘সাত দিনের মধ্যে বাংলার ভোল পাল্টে দেবেন মমতা’, মদনের চ্যালেঞ্জে জোর জল্পনা