Calcutta High Court : কঙ্কাল কার? ছাগল চুরি ঘিরে বিবাদে ‘খুন’, স্বামীর ‘খোঁজে’ হাইকোর্টে মহিলা

Calcutta High Court : গতবছরের প্রথম দিকে ছাগল চুরির অভিযোগ ঘিরে বচসা বেধেছিল ফেচকা টুডু ও বরকা টুডুর। পরে তাঁদের গন্ডগোল মিটে যায়। তার কিছুদিন পর বরকা-সহ কয়েকজন ফেচকাকে খাওয়াবে বলে ডেকে পাঠান। সেইমতো সেখানে যান ফেচকা। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Calcutta High Court : কঙ্কাল কার? ছাগল চুরি ঘিরে বিবাদে 'খুন', স্বামীর 'খোঁজে' হাইকোর্টে মহিলা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2022 | 7:03 PM

কলকাতা : চুরি গিয়েছিল ছাগল। চুরির অভিযোগ ঘিরে বিবাদ বেধেছিল দুই ব্যক্তির। মনোমালিন্য ‘মিটিয়ে’ একজন খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল দ্বিতীয়জনকে। তারপর থেকে খোঁজ নেই দ্বিতীয়জনের। নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। সন্দেহ আরও দানা বাঁধে ঘটনার বেশ কিছুদিন পর। স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় একটি নরকঙ্কাল। ওই কঙ্কাল ঘিরে রহস্য বাড়ে। শেষপর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলারই শুনানিতে আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ ঘটনাটি আরও গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্যকে।

ঘটনার সূত্রপাত গতবছরের প্রথম দিকে। বীরভূমের দুবরাজপুরের মেটেগ্রামের বাসিন্দা ফেচকা টুডুর একটি ছাগল চুরি যায়। সদাইপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রামের বরকা টুডুর বিরুদ্ধে চুরি অভিযোগ তোলেন ফেচকা। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে। পরে তাঁদের গন্ডগোল মিটে যায়। তার কিছুদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি বরকা-সহ কয়েকজন ফেচকাকে ডেকে পাঠান। তাঁকে খাওয়ানো হবে বলে তাঁরা জানান। সেইমতো সেখানে যান ফেচকা। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন অপেক্ষার পর ১২ মার্চ পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ফেচকার স্ত্রী।

কিছুদিন পর স্থানীয় চিনপাই জঙ্গল থেকে একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয়। ওই কঙ্কাল তাঁর স্বামীর বলে দাবি করেন ফেচকার স্ত্রী। কিন্তু, পুলিশ জানায়, ওই কঙ্কাল কোনও মহিলার। এই অবস্থায় গতবছরের অগস্টের শেষদিকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ফেচকার স্ত্রী। তাঁর স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিশ তৎপর নয় বলে অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করেছে বরকা টুডু।

এই মামলার শুনানি আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চান, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের ডিএনএ টেস্ট হয়েছে কি না। পুলিশ জানায়, ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, কঙ্কালটি এক মহিলার। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে পুলিশ মেডিকেল টেস্ট করায়নি কেন এতদিন, সেই প্রশ্নও তোলে হাইকোর্ট। মহিলার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ও তাঁর স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে চেয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন : Dibakar Jana: ‘কারোর বাপের টাকায় সম্পত্তি কিনিনি’, পান মান্ডিতে কাজ করা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার সম্পত্তি কত?