কলকাতা: উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ৪০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭৩টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। যোগীরাজ্যে এই গেরুয়া ঝড় নতুন করে উদ্যম জোগাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি শিবিরকেও। তবে বিজেপির এই জয়কে ততটাও বড় করে দেখতে নারাজ সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল শতাংশের নিরিখে বিচার করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল অনেক এগিয়ে। বৃহস্পতিবারই যোগীরাজ্যে বিজেপির জয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০২৪ সালে এই বাংলা থেকে কম করে ২৫ জন সাংসদ দেবে বিজেপি। ‘২৪-এ বিজেপি ৪০০ পার করবে দেশে।
জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “শুধু মুখের কথায় হবে না। ২৯৪-এ ২১৩টা আসন শতাংশের হারে তো ৪০৩-এ যা পেয়েছে তার থেকে অনেক বেশি। তা হলে তো তৃণমূলের সাফল্যের হার আরও বেশি। এটাকে মেনে নিতে হবে। সেই ভোট তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হয়েছিল। ইসবার ২০০ পার বলে তো কিছুই হল না।” একইসঙ্গে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকেও তীব্র কটাক্ষ করতে শোনা যায় জয়প্রকাশ মজুমদারকে।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির জয় নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “লখিমপুর, হাথরসের গল্প বলেছিলেন উনি। সবকটা আসনেই বিজেপি জিতেছে। মাঝখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে ভুলভাল হিন্দি বলে অখিলেশের দোকানটা বন্ধ করে দিয়েছেন।” পাল্টা জয়প্রকাশ বলেন, “দিলীপবাবু ৩ থেকে ৭৭কে বলেছিলেন সাংঘাতিক এগোনো। তাহলে দিলীপবাবু বলে দিন অখিলেশের এগোনো, ৩৩ শতাংশ ভোটে পৌঁছনো। একমাত্র বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশে। আসলে দিলীপবাবু বুধবার আরও গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলেছেন। তাঁর পার্টি এই রাজ্যে গাড্ডায় পড়েছে। দিলীপবাবু বরং গাড্ডা থেকে পার্টি তোলার বন্দোবস্ত করুন।” দু’দিনও হয়নি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। কিছুদিন আগেও তৃণমূলকে ধুয়ে দিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। ফুলবদলের পর বিজেপির বিরুদ্ধে এই প্রথম জয়প্রকাশের সুর এতটা উচ্চগ্রামে।