
কলকাতা: শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডবলীলা চালিয়ে এবার ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দিতওয়াহা (Cyclone Ditwah)। বাংলায় কি এর প্রভাব পড়বে? আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় দিতওয়াহা উপকূলের কাছাকাছি এসে পডেছে। তবে সমুদ্রের উপকূলে এসেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাবও পড়বে না বাংলায়। তবে হাওয়ার গতি পরিবর্তনে তাপমাত্রার তারতম্য শুরু হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে কমছে পারদ। রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সকালে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা। দু-এক জায়গায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি নামতে পারে। কলকাতায় বর্তমানে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে রয়েছে পারদ। পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) অফিস বলছে, মঙ্গলবারের পর থেকে ধীরে ধীরে নামবে পারদ। শুক্র, শনিবার অর্থাৎ উইকন্ডের দিকে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পশ্চিমের জেলায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে নেমে যেতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন নেই আগামী কয়েকদিনে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে। নিচের দিকের জেলা অর্থাৎ দুই দিনাজপুর ও মালদাতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সপ্তাহের মাঝামাঝি ফের কমবে তাপমাত্রা।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় দিতওয়াহা (Ditwah) তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে।। তবে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই, সমুদ্র উপকূলে ই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে স্থলভাগের পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থান করবে ঘূর্ণিঝড়। এর জেরে দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং সঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে হরিয়ানার উপর। পর পর আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে।
কলকাতায় সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে। তবে বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের ওপরে উঠেছে পারদ।এর ফলে সকাল-সন্ধ্যাতে শীতের আমেজ কিছুটা কমবে। দিনের বেলাতেও উধাও শীতের আমেজ। আগামী কয়েকদিন মূলত পরিষ্কারই থাকবে আকাশ। কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে।
সোমবার ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকবে কলকাতার পারদ। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমবে। এই সপ্তাহে শুক্র-শনিবার নাগাদ ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা রয়েছে ৪৮ থেকে ৯৪ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের কাছেই থাকবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। কোথাও সামান্য ওপরে থাকবে রাতের তাপমাত্রা। শীতের আমেজ কমে যাবে রাতে ও সকালে। দিনে উধাও শীতের অনুভূতি। কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং জেলায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা একই রকম থাকবে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার থেকে আগামী দু-তিনদিনে অন্তত তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে। শুক্রবার নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। উইকেন্ডে বাড়বে শীতের আমেজ।
আগামী দু-তিন দিন কুয়াশার সম্ভাবনা বাড়বে রাজ্যে। তাপমাত্রার ওঠা-নামাতে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশার সম্ভাবনা। খুব সকালে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। উপকূলের জেলাগুলিতে কুয়াশা সম্ভাবনা বেশি থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। স্বাভাবিকের কাছেই থাকবে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ অল্প-বিস্তর থাকবে। তাপমাত্রার বড়সড় কোনও পরিবর্তন নেই। সকালে ও রাতে শীতের আমেজ থাকলেও, দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি কমবে।
দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা থাকবে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। মালদহতে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা। সকালে দু-এক জায়গায় কুয়াশার সম্ভাবনা। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উইকেন্ডে পার্বত্য এলাকাতেও বাড়বে কুয়াশার সম্ভাবনা।