Weather Update: ওড়িশার ওপরে তৈরির হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখাও, কী প্রভাব পড়বে বঙ্গে?

Weather Update: মূলত ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কলকাতায়।

Weather Update: ওড়িশার ওপরে তৈরির হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখাও, কী প্রভাব পড়বে বঙ্গে?
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 6:35 PM

কলকাতা: গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা শোনা গেলেও এখনও কলকাতার আকাশে সে ভাবে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। তবে বুধবারও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ওড়িশার ওপরে বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে আর বিহার থেকে অন্ধ প্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর তার জেরেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।

এ ছাড়াও বাংলায় প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে যার ফলে দুই বাংলাতেই বুধবার ও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হবে। শুকনো থাকবে না দক্ষিণবঙ্গও। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমেও হবে ঝড়, সঙ্গে বৃষ্টি। তবে সাময়িক স্বস্তি মিললেও গরম থেকে এখনই মুক্তি নেই।

উত্তর-পশ্চিমে গরম হাওয়া আবার প্রবেশ করবে। এর ফলে আগামী কয়েকদিন কলকাতা- সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধীরে ধীরে কলকাতা- সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। এ দিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। এ দিন সন্ধ্যায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। ফলে কাজ থেকে যাঁদের বিকেলে বাড়ি ফেরার কথা, তাঁদের মাঝপথে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ঝাড়খণ্ডের পূর্ব দিকে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার না হওয়ায় বৃষ্টি হয়নি শহরে।

২০২২- এর আবহাওয়া প্রত্যক্ষ করে কার্যত অবাক হয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। মার্চ ও পরে এপ্রিলও ছিল প্রায় শুষ্ক। বৃষ্টির দেখা মেলেনি। কোনও কালবৈশাখীও হয়নি। তাপপ্রবাহে পুড়েছে বাংলা। ১২২ বছরের ইতিহাসে নাকি এমন শুষ্ক মার্চ-এপ্রিল দেখা যায়নি। তবে এপ্রিলের একেবারে শেষের দিকে কিছুটা স্বস্তি মেলে। ঝড়-বৃষ্টির জেরে কমেছে তাপপ্রবাহের দাপট। আর এবার বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আরও কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে আশা করছে শহরবাসী।