
কলকাতা: পিলারে পিলারে ফাটল। আর তারপরই কবি সুভাষ মেট্রোকে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুরোটা ভেঙে ফের নতুন করে তৈরি করা হবে গোটা মেট্রো স্টেশন। আর তার জন্য কমপক্ষে আট থেকে ১০ মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে বলে মনে করেছেন মেট্রো কর্তারা। যা নিয়ে গোটা কলকাতাজুড়ে চাপানউতোর কম হচ্ছে না। বিপর্যয়ের পর এই প্রথম মুখ খুলতে দেখা গেল মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় রেড্ডিকে।
তিনি জানাচ্ছেন ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে কী হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০১০ সালে এই কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে। একটা বড় ধরনের বিপর্যয় হয়েছে। গোটা স্টেশনটিকে ভাঙতে হবে। কিভাবে কি করে এই ঘটনা ঘটে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু পিলার গুলিতে ফাটল ধরেছে, তাই ওই স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রেখেই কাজ করতে হবে।” সামনেই আবার পুজো, কিন্তু তার আগে কোনওভাবেই কাজ শুরু সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। তিনি বলছেন, “পুজো শেষ হলেই এই কাজ করতে হবে। মানুষের ভোগান্তি হবে এটা জানি আমরা। তবে চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শেষ করার।”
অন্যদিকে ইতিমধ্য়েই এই বিপর্যয় নিয়ে কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়রদের তরফে নানা মত উঠে আসছে। এই যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন এবং ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের অধ্যাপক তথা নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তিনি বলছেন, “নকশার ক্রুটিতে এই ধরনের ফাটল হয়। যদিও ১৫ বছর পর হচ্ছে বলে এই তত্ত্ব বাতিল করা হচ্ছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্মাণ পদ্ধতি এখন প্রশ্নের মুখে পড়বে।” মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার যদিও বলছেন, মেট্রো স্টেশনের যে গাঁথনি তা ভালভাবেই করা ছিল। তাঁর কথায়, “যথেষ্ট গভীরতার সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। আমি মনে করি না নির্মাণে কোনও সমস্যা রয়েছে। তবে কনস্ট্রাকশনের ক্ষেত্রে আদৌও কোনও ত্রুটি ছিল কিনা সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাটির কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র অভিযোগ করে দিলেই হয় না। আপাতত সময় লাগবে। তবে কাজ শেষ হলে নতুন মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়ে গেলে মানুষের আরও সুবিধা হবে।”