কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছিল শুনানি। শেষ হতে হতে হয়ে গেল বিকাল। পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে দিনভর সওয়াল-জবাব দেখে আশার আলো যে খুব একটা যাচ্ছে এমনটা মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল। সোজা কথায়, শীর্ষ আদালতে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকুরিজীবীর ভবিষ্যৎ। কারণ, যোগ্য-অযোগ্যের বাস্তবসম্মত পৃথকীকরণ কোন পথে সম্ভব, তার কোনও দিশা এখনও পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। যোগ্য-অযোগ্যে পৃথকীকরণের জন্য যে অরিজিনাল ওএমআর শিট প্রয়োজন তা যে নেই এসএসসি-র কাছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে।
প্যানেল থাকছে নাকি চাকরি বাতিল হচ্ছে, উত্তর পেতে আপাতত জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এদিন সকালে শুনানি শুরু হতেই সকাল থেকেই লাগাতার সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য। একাধিক প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে তীব্র ভৎর্সনার মুখেও পড়ে রাজ্য। যোগ্য-অযোগ্যের পৃথকীকরণ নিয়ে দীর্ঘ সময় সওয়াল জবাব চললেও প্রায়ই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রধান বিচারপতিকে।
‘ডাল মে কুছ কালা হ্যয়, ইয়া সব কুছ কালা হ্যয়?’ এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে গিয়ে এদিন এ মন্তব্যও করতে দেখা যায় প্রধান বিচারপতিকে। এসএসসি-র মূল্যায়নকারী সংস্থার ভূমিকা, ওএমআর শিটের ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। খোদ শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির মুখে এ ধরনের মন্তব্যে যে রাজ্যের উপর চাপ আরও বাড়বে, বাড়বে অস্বস্তি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও দিনভর সওয়াল জবাব শেষে কোনও নির্দিষ্ট রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেখার জানুয়ারির শুনানিতে জল কোনদিকে গড়ায়।