TET: প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকের কর্মরত শিক্ষকদের TET দিতে হবে? বাড়ছে উদ্বেগ

Supreme Court on TET: বাংলায় টেট না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষক রয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রিভিউ পিটিশনের জন্য উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। তবে এখনও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেনি। এই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শিক্ষকদের।

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Oct 25, 2025 | 6:43 PM

কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছেন। টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) চালু হওয়ার আগেই চাকরি পেয়েছেন। এমন শিক্ষকদের টেট পাশ করতে হবে বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে একাধিক রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে। তবে উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেনি। বাংলার টেট না দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের কি টেট দিতে হবে? এই নিয়েই বাড়ছে জল্পনা।

২০১১ সাল থেকে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু, সম্প্রতি এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তার আগে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে টেট না দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের টেট দিতে হবে। ২ বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। তবে যেসব শিক্ষকের অবসরের আর ৫ বছরের কম রয়েছে, তাঁরা চাইলে পরীক্ষায় নাও বসতে পারেন বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। তবে টেট ছাড়া তাঁদের আর প্রোমোশন হবে না।

কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। যদিও সেই আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি। এরই মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে, ১০ ডিসেম্বর কর্মরত শিক্ষকদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারপরই বাংলার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের টেটে বসতে হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বাংলায় টেট না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষক রয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রিভিউ পিটিশনের জন্য উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। তবে এখনও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেনি। এই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শিক্ষকদের।

শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার রিভিউতে যাবে বলে মুখে বলছে। তবে এখনও পর্যন্তি রিভিউতে যায়নি। তার ফলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক, যাঁদের টেট দিতে হবে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁরা চিন্তা ও আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। আমরা মনে করছি, রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা দরকার। তারা কবে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করছে, সেটা জানানো উচিত। আমরা মনে করছি, আমরা মনে করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিভিউ পিটিশন করা উচিত। কারণ, শিক্ষকরা চিন্তা ও আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।”

সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন, তাঁরা শিক্ষকদের পাশে রয়েছেন। বলেন, “এই বিষয়ে যতক্ষণ না মন্ত্রিসভা নির্দিষ্ট করে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে, আমরা কিছু বলছি না। এটা পুরোটাই ক্যাবিনেটের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতর পুরোটাই পর্যালোচনা করবে। এটা যেহেতু একেবারে মন্ত্রিসভার বিষয়, ফলে আমাদের বক্তব্য রাখার অবকাশ নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা পরীক্ষার্থীদের পাশে রয়েছি। শিক্ষকদের পাশে রয়েছি।”

 

কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছেন। টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) চালু হওয়ার আগেই চাকরি পেয়েছেন। এমন শিক্ষকদের টেট পাশ করতে হবে বলে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ে একাধিক রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে। তবে উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেনি। বাংলার টেট না দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের কি টেট দিতে হবে? এই নিয়েই বাড়ছে জল্পনা।

২০১১ সাল থেকে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু, সম্প্রতি এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তার আগে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে টেট না দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের টেট দিতে হবে। ২ বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। তবে যেসব শিক্ষকের অবসরের আর ৫ বছরের কম রয়েছে, তাঁরা চাইলে পরীক্ষায় নাও বসতে পারেন বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। তবে টেট ছাড়া তাঁদের আর প্রোমোশন হবে না।

কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। যদিও সেই আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি। এরই মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছে, ১০ ডিসেম্বর কর্মরত শিক্ষকদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারপরই বাংলার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের টেটে বসতে হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বাংলায় টেট না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এমন শিক্ষক রয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রিভিউ পিটিশনের জন্য উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। তবে এখনও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেনি। এই নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শিক্ষকদের।

শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার রিভিউতে যাবে বলে মুখে বলছে। তবে এখনও পর্যন্তি রিভিউতে যায়নি। তার ফলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক, যাঁদের টেট দিতে হবে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁরা চিন্তা ও আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। আমরা মনে করছি, রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা দরকার। তারা কবে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করছে, সেটা জানানো উচিত। আমরা মনে করছি, আমরা মনে করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিভিউ পিটিশন করা উচিত। কারণ, শিক্ষকরা চিন্তা ও আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।”

সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন, তাঁরা শিক্ষকদের পাশে রয়েছেন। বলেন, “এই বিষয়ে যতক্ষণ না মন্ত্রিসভা নির্দিষ্ট করে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে, আমরা কিছু বলছি না। এটা পুরোটাই ক্যাবিনেটের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতর পুরোটাই পর্যালোচনা করবে। এটা যেহেতু একেবারে মন্ত্রিসভার বিষয়, ফলে আমাদের বক্তব্য রাখার অবকাশ নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা পরীক্ষার্থীদের পাশে রয়েছি। শিক্ষকদের পাশে রয়েছি।”