
কলকাতা: তৃণমূল তাঁকে সাসপেন্ড করার পরই নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। পরে অবস্থান বদলে জানিয়েছেন, বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন না। এই আবহে বিধানসভার অধিবেশনে কোথায় বসবেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর? বিধানসভায় হুমায়ুনের বসার আসন নিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুমায়ুনকে দল থেকে সাসপেন্ড করলেও বিধানসভার অধ্যক্ষকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা জানায়নি শাসকদল তৃণমূল। ফলে বিধানসভার খাতায় কলমে হুমায়ুন এখনও তৃণমূল বিধায়ক। আর মাস পাঁচেক পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিধানসভার অধিবেশনে হুমায়ুনের বসার জায়গা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হুমায়ুন কবীর যদি আমার এখানে পদত্যাগপত্র দিতে আসেন, তবে সেটা আইন মতো হলে আমি গ্রহণ করব। আজকে খবরে দেখলাম, উনি নাকি পদত্যাগ করবেন না। তাঁকে দল সাসপেন্ড করেছে। দলের চিঠি এলে ওঁকে আর তৃণমূল কিংবা বিজেপি, কোনও দলেরই সদস্য মনে করব না। একটি নিরপেক্ষ জায়গায় বসাব।” অর্থাৎ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বিধানসভায় তৃণমূল আর বিজেপির মাঝে কোনও জায়গায় অধিবেশন কক্ষে বসবেন।
হুমায়নকে তৃণমূল দল থেকে সাসপেন্ড করলেও বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে যে তাঁকে সরানো হবে না, এদিন স্পষ্ট করে দিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর কারণ কী? বিধানসভার অধ্যক্ষ বললেন, “আর কয়েকমাস পর নির্বাচন। সেই নির্বাচনের পর এমনিতেই নতুন কমিটি গঠন হবে। তাই এখন কমিটিতে কোনও বদল হবে না। কমিটিতে উনি থাকতে চাইলে রাখব।”কোনও ইস্যুতে বিধানসভায় ভোটাভুটি হলে, হুমায়ুন কোন পক্ষে ভোট দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ভোটাভুটি হলে উনি কোন দলের হয়ে ভোট দিলেন, সেটা দেখা যাবে।”