Nandini Chakraborty: কখনও বিতর্কে, কখনও সংঘাতে শিরোনামে এসেছেন, সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই ভরসা মমতার

Nabanna: ২০২২-এ তাঁকে রাজভবনে প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নন্দিনী চক্রবর্তীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরও অফিসে যাচ্ছিলেন নন্দিনী। নবান্ন থেকে তাঁকে সরানো না হওয়ায় অফিস ছাড়েননি তিনি। পরে নবান্ন নির্দেশিকা জারি করে পর্যটন দফতরের সচিব করে নন্দিনীকে।

Nandini Chakraborty: কখনও বিতর্কে, কখনও সংঘাতে শিরোনামে এসেছেন, সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই ভরসা মমতার
Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 31, 2025 | 10:49 PM

রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজভবনে দায়িত্বে থাকার সময় তাঁকে ঘিরে বিতর্ক তথা সংঘাত তৈরি হয়। শাসক দল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তকমা জুড়ে দেয় বিরোধীরা। সেই বিতর্কের পর প্রায় তিন বছর কেটে গিয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামনে এবার একেবারে মুখ্যসচিব হলেন নন্দিনী। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। মনোজ পন্থের মেয়াদও আর বাড়ানো যায়নি। তাই ভোটের আগে ভরসাযোগ্য হিসেবেই নন্দিনীকে বেছে নেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেকেই।

একগুচ্ছ দফতর সামলেছেন নন্দিনী

১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। ভুগোলে স্নাতকোত্তরের পর আইএএস হন তিনি। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক হিসেবে। পরবর্তীতে বর্ধমানের মহকুমা শাসকের পদও সামলেছেন তিনি। পরে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক হন নন্দিনী চক্রবর্তী। একসময় ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসকও। অবর সচিবের দায়িত্ব একসময় ছিল নন্দিনীর কাঁধে। এছাড়া রাজ্য সরকারের একগুচ্ছ দফতরের সচিব হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কেএমডিএ, স্বাস্থ্য দফতর, শিল্প দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, সুন্দরবন বিষয়ক দফতর, পর্যটন দফতরের পাশাপাশি বায়ো টেকনোলজি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরও দক্ষ হাতে সামলেছেন তিনি।

শাসকদলের সঙ্গে সংঘাতের কথাও শোনা গিয়েছিল একসময়

কর্মজীবনে একাধিকবার বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে নন্দিনীকে। যে অফিসারকে একসময় শাসক ঘনিষ্ঠ বলেছেন বিরোধী দলের নেতারা, বছর দশেক আগে সেই নন্দিনীকে পদ থেকে সরানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শাসক দলের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের কথাও শোনা গিয়েছিল সেইসময়। তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন মন্টুরাম পাখিরা। তাঁর আমলে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই দুর্নীতি আটকাতে গিয়েই নন্দিনীকে সরতে হয়েছিল বলে শোনা যায়। মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করায় নন্দিনীকে সরিয়ে অন্য দফতরে দেওয়া হয়, এমনটাও শোনা গিয়েছিল সেই সময়। যদিও কোনও পক্ষই সেই অভিযোগের কথা স্বীকার করেনি।

রাজভবনেও বেঁধেছিল বিতর্ক

ফের বিতর্ক হয় ২০২৩ সালে। ২০২২-এ তাঁকে রাজভবনে প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নন্দিনী চক্রবর্তীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরও অফিসে যাচ্ছিলেন নন্দিনী। নবান্ন থেকে তাঁকে সরানো না হওয়ায় অফিস ছাড়েননি তিনি। পরে নবান্ন নির্দেশিকা জারি করে পর্যটন দফতরের সচিব করে নন্দিনীকে। বার্লিন থেকে পর্যটনে পুরস্কার এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২৩-এর ৩১ ডিসেম্বর থেকে তিনি পর্যটন এবং স্বরাষ্ট্রদফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।