
কলকাতা: শুক্রবার হাইকোর্ট চত্বরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমদের। তাঁদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে। সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত রায় দেওয়া হচ্ছে না কেন এই প্রশ্ন তুলে বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও ওঠে স্লোগান। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও ঘেরারও করা হয়। বোতল ছোড়ারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। বিকাশ যদিও বলছেন, সবটাই করেছে কুণালের লোকেরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের একবার দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। বিকাশের সাফ কথা, “প্রশাসন চাইছে দুর্নীতি করব, দুর্নীতি বাঁচিয়ে রাখব, প্রয়োজন হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের খতম করব। ওরা ওদের কাজ করে যাক, আমরা আমাদের কাজ করে যাব।”
এদিন ওই দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “আগেও বলেছি, এখনও বলছি কুণাল পাঠিয়েছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচি। মমতা মঞ্চ থেকে বারেবারে ডাক দিয়েছেন। কেউ গ্রাহ্য করেনি। এবার ডাক দিয়েছেন আমাকে কোণঠাসা করার জন্য। ফল হল উল্টো, লোকে আমার কাছে আসতে থাকে। তাতেই ওরা রেগে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়।” বিকাশের সন্দেহ পুরোটাই আগাম
‘অর্গানাইজড’। তাঁর আরও সংযোজন, “ওরা আগে থেকে বিচারপতির ছবি ছাপিয়ে এনেছেন, আমাদের ছবি ছাপিয়ে এনেছেন। ঘটনার সময় পুলিশ নিরব দর্শক ছিল। আমি যতক্ষণ না অকুস্থলে পৌঁছে আমার জুনিয়রদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছি ততক্ষণ পুলিশ কিছু করেনি। আমি যাওয়ার পর উত্তেজনা তৈরি হতে তারা তৎপর হয়েছিল। ওদের দোষ নেই। ওদের কাছে নির্দেশ ছিল না।”
প্রসঙ্গত, আগেই বিকাশ শামিমদের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। চাকরি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই বলেন, “বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একসময় এনাদের পক্ষে ছিলেন। ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। আজ বাধা দিচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উনি বলছেন, টাকা নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু এটা কোন পেশাদারিত্ব?” এখন সেই কুণালকেই এবার বিকাশের পাল্টা আক্রমণ। চাপানউতোর চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়।