
রাজারহাট: ঘরময় রক্ত। ঘরের মেঝেতে পড়ে এক মহিলা। গলা কাটা। রাজারহাটের শেখরপুরে অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল মহিলার রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম দেবযানী মজুমদার(৫৮)। মৃতের ছেলে সৌমিক মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন দেবযানী। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছে। কয়েকমাস আগে চাকরি হারান বছর তেত্রিশের সৌমিক। তারপর থেকে প্রায়ই মা ও ছেলের ঝগড়া হত। সৌমিক সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। চাকরি হারানোর পর মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গতকাল রাতে ঝগড়ার সময় ছুরি দিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারেন সৌমিক। এমনকি, মায়ের দেহ ফ্ল্যাটে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় টেনেও নিয়ে যান।
এদিন সকালে আবাসনের বাইরে এক চা দোকানদারকে গিয়ে তাঁর মায়ের কথা বলেন সৌমিক। রবীন বিশ্বাস নামে ওই চা দোকানদার বলেন, “আজ সকালে সৌমিক আমার দোকানে আসে। বলে, একবার আমার ফ্ল্যাটে চলুন। আমার মা নিজের গলায় ছুরি বসিয়েছে। ভয়ে একা যাইনি। আবাসনের সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়ে ফ্ল্যাটে যাই। তারপরই দেখি ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মহিলা।”
খবর পেয়ে আসে রাজারহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ছেলে সৌমিক মজুমদারকে গ্রেফতার করে। মৃত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তবে মাকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৌমিক। এদিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর তিনি বলেন, “আমি মাকে মারিনি। আমি সকালে উঠে দেখি এমন অবস্থা।” বর্তমানে তিনি কিছু করেন না বলে জানান সৌমিক।