কলকাতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বাক্সকে সমৃদ্ধ করেছে। মহিলারা হাত উপুড় করে আশীর্বাদ করেছেন তৃণমূলনেত্রীকে। আর সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে আক্রমণ করে পাল্টা প্রচার পদ্ম শিবিরের। হাতিয়ার সন্দেশখালিতে মহিলাদের হওয়া অত্যাচারের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ৫০০ টাকায় বিক্রি মহিলার সম্মান। এই লাইনেই জোরদার প্রচার বিজেপির। একইসঙ্গে আম মহিলাদের বক্তব্যকে ব্যবহার করে এক্ষেত্রে প্রচার তুঙ্গে তুলতে চায় বিজেপি। সামনে আসছে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে তাঁদের মতামত। উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ।
ভিডিয়ো বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপির প্রথমসারির নেত্রীরাও। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, “সন্দেশখালিতে আগুন জ্বলছে। সাধারণ মা-বোনেরা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। আমরা স্তম্ভিত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো একজন মহিলা! সন্দেশখালির মহিলারা বলছেন তাঁদের মধ্যে যাঁদের সুন্দর দেখতে, যে বয়সিই হোক তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হত টিএমসির পার্টি অফিসে। কিসের জন্য নিয়ে যেতেন? এন্টারটেইনমেন্টের জন্য।”
ফুঁসছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি আবার বাংলার সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা টানছেন। বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তো একজন মহিলা! সেখানে বাংলার মহিলাদের অবস্থা এরকম! বিবাহিত হোক অবিবাহিত হোক তাঁদের তুলে নিয়ে যায়। আটকে রাখে। এদিকে ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। অন্যদিকে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই। এই বাংলায় দাঁড়িয়ে মহিলাদের কোনও সুরক্ষা নেই, কোনও স্বাধীনতা নেই। একাধিক ‘শ্রী’ প্রকল্প হচ্ছে একদিকে, আর একদিকে মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। এ তো সিনেমা দেখছি মনে হচ্ছে। ইরাক, ইরানের গল্প শুনেছি আমরা। সেখানে কীভাবে মহিলাদের অত্যাচার চলে শুনেছি। বাংলা কী পাকিস্তান, ইরাকের দিকে চলে যাচ্ছে। এর জবাব বাংলার মানুষ দেবে।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট টাউন প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ বলেন, সন্দেশখালিতে চক্রান্ত করছে বিজেপি। শাহজাহানকে ফাঁসানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে সাড়া বিশ্বে চর্চা হয়। তাই এসব বলে মুখ্যমন্ত্রীকে দমানো যাবে না।