
কলকাতা: হাইকোর্ট থেকে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। এসএসসি-র একাদশ দ্বাদশের ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হতেই তাতে জড়িয়ে যায় বিশেষভাবে সক্ষম এক দাগি শিক্ষকের নাম। ফের জল গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই মনে করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা। অন্যদিকে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা পুনরায় পরীক্ষায় বসলেও তাঁদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর পাওয়া নিয়েও চাপানউতোর কম চলছে না। ফ্রেশারদের অভিযোগ, এই নিয়মের ফলেই তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফুল মার্কস পেয়েও ডাক পাচ্ছেন না ইন্টারভিউয়ে। এখন সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট কথা, তাঁরা একবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন পরীক্ষার্থীদের বসাতে বলেনি। এ বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনই জটিলতা তৈরি করেছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এসএসসি-কে দরজা সার্টিফিকেটই দিচ্ছেন।
নতুন নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হলেও ব্রাত্য বসু স্পষ্ট বলছেন, “স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে এসএসসি। আমাদের কাজ হচ্ছে এসএসসি যাতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বিঘ্নে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।” ব্রাত্যর দাবি, এসএসসি উত্তরপত্রের কার্বন কপি যেমন দিচ্ছে, কাদের ইন্টারভিউতে ডাকা হবে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ লিস্টও দিয়ে দিচ্ছে। এরপরই একেবারে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, “কোর্টও বুঝেছে আমরা পুরোটাই স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে চেয়েছি। তবে আমি মনে করি না কোর্ট ভেদে বা বিচারক ভেদে আইন বা বিচার বদলায়।”
অন্যদিকে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় দাগি শিক্ষকের অন্তর্ভূক্তি নিয়েও এদিন সাফাই দিতে দেখা যায় ব্রাত্যকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-কে বলেছে কোনও দাগি প্রার্থীকে রাখা যাবে না। দাগিদের পূর্ণাঙ্গ লিস্ট বের করতেও বলেছে। আজই এসএসসি দাগিদের পূর্ণাঙ্গ লিস্ট বের করে দেবে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে এসএসসি। আমরা এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে শেষ করার জন্য শুধু আশাবাদী নই, বদ্ধপরিকরও।”