BJP: টাকার বিনিময়ে পুরসভা ভোটের টিকিট দিয়েছেন বিজেপি নেতা! চরম বিক্ষোভ
Kolkata Municipality Election: কলকাতা পুরসভা ভোটে (Kokata Municipality Vote) আগেই টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা শঙ্কর সিকদারের বিরুদ্ধে। সোমবার ফের টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা শঙ্কর শিকদার এবং প্রীতম সরকারের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: কলকাতা পুরসভা ভোটে (Kokata Municipality Vote) আগেই টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা শঙ্কর সিকদারের বিরুদ্ধে। সোমবার ফের টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা শঙ্কর শিকদার এবং প্রীতম সরকারের বিরুদ্ধে। আর এ নিয়ে এদিন বিক্ষোভ শুরু করলেন বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ। এদিন বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গেল বিজেপি কর্মীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
কলকাতার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্কর সিকদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আগেই। তাঁদের অভিযোগ, ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুতপা গুপ্তকে অর্থের বিনিময়ে টিকিট দিয়েছেন শঙ্কর। এমনকি বিজেপি কর্মীদের এও অভিযোগ বেহালা পূর্ব-পশ্চিমে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই বিজেপি প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন এদিন। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুতপা গুপ্তকে সরাতেই হবে।
এদিন ‘নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ’, ‘অমিত শাহ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে বিজেপির পতাকা ও কালো পতাকা হাতে মিছিল করেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এমনকি মিছিল থেকে শোনা যায়, ‘তৃণমূলের দালাল শঙ্কর সিকদার হায় হায়’ স্লোগান শোনা যায়। উঠে আসে সুতপা গুপ্তকে প্রার্থী পদ থেকে সরানোর দাবি।
বিক্ষোভকারীদের মন্তব্য, যেভাবে সারা জেলা জুড়ে শঙ্কর সিকদার টাকার বিনিময়ে টিকিট বিনিময় করেছেন, তার প্রতিবাদেই তাঁরা বিক্ষোভ করছেন। জেলা কমিটির যে কজন সদস্য আছেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বেহালা পশ্চিমের কেন কোনও নেতাকে টিকিট দেওয়া হল না প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেক প্রার্থীকেই টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়েছেন শঙ্কর শিকদার। তাঁদের আরও দাবি, দক্ষিণ কলকাতার প্রত্যেক ওয়ার্ডেই টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিধানসভা ভোটেও হয়েছিল। সেই কাজ এবার পুরভোটেও হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, সুতপা গুপ্তকে এলাকার কেউ চেনেনই না।
এদিকে এই অভিযোগ ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে শঙ্করবাবু ও সুতপা দেবীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা দু’জনেই দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Marriage Ceremony: ভাঙল প্রাচীন রীতি, চন্দননগরে চার হাত এক করলেন মহিলা ‘পুরুত’ অনীতা মুখোপাধ্যায়