EXCLUSIVE: ৪৪ বছর ধরে এই অরাজকতা এবার বন্ধ হোক, চান সীমান্ত গান্ধীর নাতনি ইয়াসমিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 17, 2021 | 8:59 PM

Afghanistan: ইয়াসমিনের কথায়, এতদিন তো বিশ্বযুদ্ধও চলেনি। এই লড়াই কেন এতদিন ধরে চলছে কেউ জানে না।

EXCLUSIVE: ৪৪ বছর ধরে এই অরাজকতা এবার বন্ধ হোক, চান সীমান্ত গান্ধীর নাতনি ইয়াসমিন
ইয়াসমিন নিগার খান।

Follow Us

সুজয় পাল: বিশ্বযুদ্ধও এত দিন চলেনি। তাই এ বার অন্তত শান্ত হোক আফগানিস্তান। টিভি নাইন বাংলার সামনে কার্যত প্রার্থনার সুরে বললেন খান আব্দুল গফফর খান ওরফে সীমান্ত গান্ধীর নাতনি।

কলকাতায় পার্ক সার্কাসের কাছে করিম হুসেন লেনে বসবাস করে সীমান্ত গান্ধীর উত্তর সূরিরা। সেখানে থাকেন ইয়াসমিন নিগার খান। যিনি আব্দুল গফফর খানের নাতনি। আফগানিস্তানের ভিটে মাটিতে তালিবানের রাজত্ব কিছুতেই মন থেকে মানতে পারছেন না ইয়াসমিন। জানালেন, “এখন আফগানিস্তানের যা অবস্থা তা সত্যিই চিন্তার। ওখানকার মানুষও ভুগছেন। এটা তো আজকের লড়াই নয়। চার দশক তো হয়ে গেল। ৪৪ বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। এই লড়াই এবার শেষ হওয়া দরকার।”

ইয়াসমিনের কথায়, এতদিন তো বিশ্বযুদ্ধও চলেনি। এই লড়াই কেন এতদিন ধরে চলছে কেউ জানে না। অনেক আফগান, পাশতুন রয়েছেন কলকাতায়। যাঁদের পরিবার এখনও আফগানিস্তানেই। এই পরিস্থিতি তাঁদের জন্য যে কতটা উদ্বেগের সে কথাও ধরা পড়ে সীমান্ত গান্ধীর নাতনির গলায়।

ইয়াসমিন বলেন, “এখানে যাঁরা থাকেন তাঁদের অনেকেরই পরিবার, আত্মীয় আফগানিস্তানে। একবার ভেবে দেখুন সেই মানুষগুলোর ভিতরে কী চলে! দিনের পর দিন এই এক ঘটনা।” ইয়াসমিন চান বিশ্বের রাষ্ট্রশক্তি এবার একজোট হয়ে আফগানিস্তানকে বিপদ মুক্ত করুক। এগিয়ে আসুক নরেন্দ্র মোদীর সরকারও। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভারত-সহ সমস্ত দেশকে বলব জাতিপুঞ্জের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবার এই লড়াই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করা হোক।” আফগানিস্তানের মানুষ এখন শুধু শান্তি চান।

রবিবারই আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালিবানরা। গোটা দেশই তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে সীমান্ত ও সড়ক পথ। দেশ ছেড়ে পালানোর একমাত্র পথ কাবুলের হামিদ কারজ়াই বিমানবন্দর। তাই গতকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন আফগানবাসী। পালাতে গিয়ে বিমান থেকে পড়ে ও গুলি চালনার ঘটনায় বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন:  গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠবে কান্না! কাবুল বিমানবন্দরে একা একা কেঁদে চলেছে শিশুটি, খোঁজ নেই মা-বাবার

Next Article