কলকাতা: অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষের পথে নামল বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন, ইয়াস নিয়েও রাজনীতি করছেন মমতা। এমনকি, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাও ভিত্তিহীন বলে এ দিন দাবি করেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কেটে যাওয়ার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দিলীপবাবু বলেন, “যতটা ক্ষতি হবে ভাবা হয়েছিল তার থেকে কম হয়েছে। ভগবানের ইচ্ছায় অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। ইয়াসের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র অগ্রিম টাকা দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজে এটা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। যে রাজ্যের উপকূলবর্তী সীমা যত বেশি থাকে সেই রাজ্যকে তত বেশি টাকা দেওয়া হয়। সেই হিসাবেই টাকা দেওয়া হয়েছে।”
ইয়াসের মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকে বসার পরই কেন্দ্রের বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা বাংলার থেকে ছোট রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের বরাদ্দ কম হবে, এই বিষয়টি সামনে রেখে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তারই পালটা যুক্তি দিয়ে অর্থ বণ্টনের সমীকরণটি প্রকাশ্যে আনেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: ইয়াসে বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ধ্বংস ১০ হাজারের বেশি বাড়ি
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ঝড়ের পর দাবি করেছিলেন, রাজ্যের প্রায় ১৩৪ টি বাঁধ যে ভেঙেছে। এখানেই দিলীপের প্রশ্ন, “এতগুলো বাঁধ ভেঙেছে তা এত তাড়াতাড়ি জানা গেল কীভাবে? এর মধ্যে কতগুলো পাকা বাঁধ ছিল তা আমার জানা নেই। যদি পাকা বাঁধ তৈরি করা হত তবে আজকে এই অবস্থা হত না।” মমতা আরও দাবি করেছেন, ১০ হাজার বাড়ি ভেঙেছে। কিন্তু দিলীপের দাবি, “আমরা দেখলাম সমুদ্রের কাছাকাছি বাড়িগুলোও ভাঙেনি সব। ক্ষতি আর ক্ষতিপূরণের কথা হয়তো উনি ঝড় আসার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। রাজ্যের এই তথ্যের উপরে মানুষের বিশ্বাস নেই।”
আরও পড়ুন: প্রথমে যাবেন সাগরে, এরপর পূর্ব মেদিনীপুরে, ইয়াসের বিপর্যয় বুঝতে লাগাতার বৈঠক মমতার