কলকাতা: জাল টিকা চক্রের গোড়ায় (Kasba Fake Vaccination Camp) পৌঁছতে দুটি আলাদা কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর। কসবার ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চার চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি। নকল টিকার উৎস খুঁজতে তৈরি হয়েছে আরও একটি কমিটি।
দুটি কমিটিই পৃথক লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রথম কমিটিতে রয়েছেন চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালি, চিকিৎসক জ্যোর্তিময় পাল ও চিকিৎসক শান্তনু ত্রিপাঠী। তাঁরা চেষ্টা করছেন, আগামী দিনে যাতে কসবার মতো এত বড়ো দুর্নীতি না ঘটে। তাঁরা একটি এসওপি তৈরি করেছেন। যা ইতিমধ্যেই প্রাইভেট সেক্টরের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
এসওপিতে বলা হয়েছে, টিকা প্রাপকদের সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে হবে। টিকা যেখানে শিবির আয়োজন করছে, সেখানে কো-উইন, কো রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ভাওয়াল কোথা থেকে এসেছে, তা যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। এমনকি শিবিরের জন্য কত টাকা নেওয়া হচ্ছে, সেটাও ডিসপ্লে করতে হবে। মঙ্গলবার কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই যে যে প্রশ্নগুলি উঠেছিল, তার উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আগেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, কোথাও ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হলে, তার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু সেটা যে কোথাও একটা ঠিক মতো কার্যকর হচ্ছিল না, এটা তারও একটা প্রমাণ। এবার এসওপিতে বলা হয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় থানার অনুমতি ছাড়া কোনও ক্যাম্পের আয়োজন করা যাবে না।
অপর কমিটি কাজ করছে টিকাটা এল কোথা থেকে তা জানতে? ভুক্তভোগী অর্থাৎ টিকা প্রাপকরা দেবাঞ্জন কিংবা তাঁর ক্যাম্পের খোঁজ পেলেন কোথা থেকে? তা খতিয়ে দেখছে। এই কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের দুই চিকিৎসক।