AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: মর্মান্তিক! মেয়ের বিয়ের দেনা মেটাতে গিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে! বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

Malda Death: বিয়েতে দেনা হয়েছিল প্রচুর। কার্যত সেই দেনা পরিশোধ করার লক্ষ‍্যে মাস তিনেক আগে স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে দিল্লিতে পাড়ি দেন তিনি।

Malda: মর্মান্তিক! মেয়ের বিয়ের দেনা মেটাতে গিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে! বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
মেয়ের মৃতদেহ পুঁতে দিলেন বাবা (প্রতীকী চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 7:40 PM
Share

মালদা: কয়েকমাস আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মাথায় প্রচুর দেনার দায়। সেই দেনা মেটাতেই ভিনরাজ‍্যে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণটাই আর থাকল না। বহুতল থেকে পড়ে মৃত‍্যু পরিযায়ী শ্রমিকের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম মহসিন আলি (৪৫)। চাঁচল-১ ব্লকের মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা গ্রামের বাসিন্দা সে। আট মাস আগে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেন মহসিনবাবু । বিয়েতে দেনা হয়েছিল প্রচুর। কার্যত সেই দেনা পরিশোধ করার লক্ষ‍্যে মাস তিনেক আগে স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে দিল্লিতে পাড়ি দেন তিনি। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যুক্ত হন তিনি। ভেবেছিলেন যা কিছুই অর্থ জোগাড় হবে তাই দিয়েই মিটিয়ে দেবেন দেনা।

চলছিল কঠোর লড়াই। একটানা তিনমাস শ্রমিকের কাজ করেই চলেছিলেন। এরপর সোমবার সন্ধেয় গ্রামের বাড়িতে মৃত‍্যুর খবর এসে পৌঁছায়। কাজ করার সময় বহুতল থেকে পড়ে মৃত‍্যু হয় বলে জানানো হয়েছে। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহসিনবাবুর ষাট উর্ধ্ব বৃদ্ধ বাবা ও মা পরিবারের সদস্যরা।

বাবা জাব্বার মণ্ডল বলেন,”পরশু দিন ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল শেষবারের মতো। তার একমাত্র মেয়ে প্রসূতি অবস্থায় বাপের বাড়িতে রয়েছে। মেয়েকে দেখে রাখার কথা বলে ছেলে ।” মা নুরজাহান বলেন,”ছেলে যাওয়ার ছিল না। মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। দেনা অনেক। তাই ছেলে বলছিল মা আমাকেই যেতেই হবে। নইলে ঋণ পরিশোধ হবে না। ছেলেকে এইভাবে খোয়াতে হবে তা মেনে নিতে পারছি না।

মঙ্গলবার সকালে বাড়ির উদ্দ‍্যেশে দেহ নিয়ে রওনা দিয়েছেন স্ত্রী। এখন ছেলেকে শেষ দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বৃদ্ধ বাবা, মা ও বিবাহিত কন‍্যা।

এর ঠিক একসপ্তাহ আগেই গোবিন্দপাড়ার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত‍্যু ঘটেছিল। এর কয়েক মাস আগে হাওড়ায় কাজ রাজমিস্ত্রির করতেন শ্রমিকেরা। লকডউনে চলে যায় সেই কাজ। পরিবারের পেট চালানোই দায় হয়ে উঠেছিল। তাই রুটি-রুজির খোঁজেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন তাঁরা। তবে ট্রেন ধরার আগেই সব শেষ। রাতের মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। বারুইপুরের কুলতলির সীমানা বাজারের কাছে ভয়া এই দুর্ঘটনা ঘটে রবিবার রাতে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের চারজন।

২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি পিক আপ ভ্যানে চেপে হাওড়া স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের পোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জনের। ১৭ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯।

আরও পড়ুন: Kaliachak: ফের ‘কুরুক্ষেত্র’ কালিয়াচক, আচমকা বোমা ফেটে জখম ২ শিশু!