মুর্শিদাবাদ: এফআইআর-এর ১৪ দিন পরেও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ফরাক্কার অর্জুনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে? তৃণমূল নেতার স্ত্রী বলেই কি ছাড়? এবার সরাসরি ফরাক্কার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিযোগকারী জামিরুল ইসলাম। এই বিষয়টি নিয়ে আবারও তিনি কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তৃণমূল পরিচালিত অর্জুনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওয়াহিদা খাতুন।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী বদরুল ইসলাম আবার অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে উপপ্রধান হয়েছেন। ওয়াহিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রামোন্নয়নের কোনও কাজ না করে প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তিনি। পুকুর খনন, বৃক্ষরোপণ, বাঁধ নির্মাণের নামে ব্যাপক টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
অর্জুনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন স্থানীয় বাসিন্দা লাল মহম্মদ বিশ্বাস ও জামিরুল ইসলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক একটি তদন্ত কমিটি পাঠিয়ে অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখেন।
তদন্তে অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টি প্রকল্পে কোন কাজ না করে মোট ৭০ লক্ষ ১৬ হাজার ৪২০ টাকা তছরুপের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পর হাইকোর্ট নির্দেশ দেন অর্জুনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওয়াহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করার। তারপরেই ৫ সেপ্টেম্বর সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগে অর্জুনপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মীকে শোকজ করারও নির্দেশ দেয়।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশের চোখে পলাতক অভিযুক্ত। মামলাকারীর অভিযোগ, কর্তব্যে গাফিলতি করছে পুলিশ। এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মামলাকারী।