পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্য জুড়ে চলছে দিদির সুরক্ষা কবচ। উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন নেতা কর্মীরা। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর বিধানসভার পটাশপুর দুই ব্লকের একটা অন্য দৃশ্য সামনে এল। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে অঝোরে কেঁদেই ফেললেন বার্ধক্য ভাতা প্রাপকরা।২০২২ সালের জুন মাসে শেষবার পেয়েছিলেন বার্ধক্য ভাতা। তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে আসেনি আর সেই টাকা। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের অভিযোগ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে ও বিডিওকে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি বিডিওর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও করেন। বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হওয়াতে কেউ কেউ ওষুধও কিনতে পারছেন না। কেউ আবার ঠিকভাবে খেতে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন বহু বয়স্ক মানুষ। নিজেদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কেঁদেই ফেললেন তাঁরা। এইভাবে চললে যেকোনও সময়ে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিডিও এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণীর সরকারি কর্মচারীরা শাসকদলের নেতাদের মত আচরণ করছেন। মানুষের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করছেন। তার জবাব তারা পাবেন ঠিক সময়।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
নিয়মের রয়েছে অনেক সেই বেড়াজালে বা প্রশাসনের গাফিলতিতে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে মানুষগুলি ? কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি ও বার্ধক্য ভাতা পাবেন তা কেউ জানেনা তারা !