
যত দিন যাচ্ছে যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। সমীক্ষা বলছে ২০২২ সালে মহিলা ক্যানসারের আক্রান্তদের মধ্যে ২৮.২ % স্তনের ক্যানসারের শিকার।

৩০ পেরোনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বয়স ২৫ পেরোলেই সচেতন হওয়া উচিত মহিলাদের। কারণ এই রোগ থেকে বাঁচার সব থেকে বড় উপায় হল 'সেলফ ডিটেকশন'।

মনে রাখবেন, স্তনে লাম্প বা টিউমার থাকলেই কিন্তু সেটা ক্যানসার এমনটা নয়। বরং ১০-১৫ শতাংশ টিউমারের ক্ষেত্রে এই ভয় থাকে। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু সাধারণ চোখে কী ভাবে বুঝবেন, এমন ঘোরতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে কি না? স্তনে তৈরি হওয়া মাংস পিণ্ড সব সময় চামড়ার আড়ালেই থাকে। এ ছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের মাংসের দলা থাকলেও তা এড়িয়ে যাবেন না।

মাংস পিণ্ড টিপলে যদি শক্ত লাগে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং সেটাও যত দ্রুত সম্ভব। সঙ্গে মাথায় রাখুন এই সব লক্ষণগুলিও। যা দেখলে আগেই সতর্ক হবেন।

স্তন থেকে অকারণে তরল ক্ষরণ হলে সাবধান। এটি কিন্তু স্তন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। স্তনে কোনও রকম র্যাশ কিংবা চুলকানির মতো অস্বস্তি হলেও অবহেলা করবেন না।

কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও স্তন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কোনও কারণ ছাড়া টানা কাঁধে ব্যথা হলে চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন। নিজে ডাক্তারি না করাই ভাল। স্তনের আকার বিকৃত হলেও সতর্ক হন। হঠাৎ স্তনের আকার পরিবর্তিত হওয়া ভাল কথা নয়।

অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো কোনও অনুভূতি হয় কিংবা উপুড় হয়ে শুতে গেলে যদি ব্যথা লাগে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। স্তনে কোনও রকম সাড় পাওয়া না গেলে আরও বেশি করে সতর্ক হন।