রাজ্য জুড়ে বসন্তের আনাগোনা। তার মাঝেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন গরমের দাপট বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের ব্যস্ততা। মার্চের গরমেই চোখে মুখে ঝুল-কালি মেখে যাওয়ার মত অবস্থা। রোজকার ব্যস্ততার মাঝে জ্যাম-ভিড় ঠেলে চাকরি-ব্যবসা কিংবা পড়াশোনার জন্য দিনের বড় সময়টা বাইরেই কাটিয়ে দেয় বর্তমান প্রজন্ম। যে কারণে শরীর ঠিক রাখতে এই সময় অনেক রকম ব্যবস্থাও নিতে হয়। জল বেশি করে খেতে হবে। বাইরের খাবার ভাজাভুজি এই সময় এড়িয়ে যেতে পারলেই একদম ভাল। ডাবের জল, ফলের রস এসব বেশি করে খেতে হবে। পাশাপাশি রোজ কী পোশাক পরছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সিন্থেটিক পোশাক পরলে সেখান থেকে ইচিং এর সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও একাধিক ত্বকের সমস্যাও আসে।
ঝকমকে ঝলমলে পোশাক কখনই দেখতে ভালো লাগে না। পোশাকের মধ্যে যেন আভিজাত্য থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর আভিজাত্যের কথা মাথায় রাখলে সুতির থেকে ভাল আর কিছুই হয় না। শুধু তাই নয়, সুতির পোশাক আরামদায়কও বটে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সবচেয়ে প্রচলিত এবং আরামদায়ক হচ্ছে কটন বা সুতি কাপড়। তুলো থেকে তৈরি এই তন্তু বিভিন্ন উপায়ে বাহারি বুননে নানা ধরনের কটন তৈরি হয়। এর মধ্যে দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। যে কারণে ঘাম হলেও শুকিয়ে যায় ঝটপট। আর গরমের দিনে সব সময় হালকা রং পরুন। এমনিও রংচঙে জামাকাপড় দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। আর জরি-চুমকি দেওয়া ভারী কাজের পোশাক বেশিক্ষণ পরে থাকাও কষ্টকর। শীতের দিনে যদিও বা সিন্থেটিক পরা যায় কিন্তু গরমের দিনে এসব কিছুই পরা যাবে না। সুতি বা হ্যান্ডলুমের পোশাকের মধ্যে একটা আভিজাত্য থাকে। কটনের টপ, কুর্তি এসব পরতে পারেন। এছাড়াও চলতে পারে কটন টি-শার্ট। এতে বেশ আরাম পাওয়া যায়।
এখন অনেকেই কটনের জামা পরতে ভালবাসেন। আর তাই ম্যাক্সি ড্রেস, লং ড্রেস, শর্ট কুর্তা, সুতির শার্ট এসব প রতে পারেন। এছাড়াও ধোতি প্যান্ট, পালাজো এসবের সঙ্গে টপ পড়লেও বেশ লাগে। গরমে লিনেনও খুব আরামদায়ক। আর পরতে পারেন খাদির কাপড়ও। এই খাদির শাড়ি, হ্যান্ডলুমের শাড়ি স্টাইল করে পরলে লাগে দারুণ। বসন্তের পার্টিতে এমন করে সাজতেই পারেন।