Agitation in Hospital: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা আরামবাগ-নদিয়ায়, কাঠগড়ায় দুই হাসপাতাল
Agitation in Hospital: কোতোয়ালি থানার ভাতজাংলা বাগচি পাড়ার বাসিন্দার ৫৮ বছরের আশারানি দাসকে মঙ্গলবার দুপুরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল। অন্যদিকে আরামবাগের মাধবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমবাদ এলাকার বিল্টু মালিক নামে বছর তেরোর এক কিশোরকে আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র সেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরামবাগ ও নদিয়া: রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা আরামবাগ (Arambagh), নদিয়ার (Nadia) শক্তিনগরে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকালে আরামবাগের মাধবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমবাদ এলাকার বিল্টু মালিক নামে বছর তেরোর এক কিশোর পেটের সমস্যা নিয়ে আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র সেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিল্টুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ভর্তি হলেও কোনও চিকিৎসা হয়নি ওই কিশোরের। রাতে এক ডাক্তার একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। তাতে বুধবার দুপুরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বিল্টুর পরিজনেরা। বুধবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
খবর যায় পুলিশ। আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কার্যত একই ছবি দেখা যায় নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, কোতোয়ালি থানার ভাতজাংলা বাগচি পাড়ার বাসিন্দার ৫৮ বছরের আশারানি দাসকে মঙ্গলবার দুপুরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল। চিকিৎসার পর বুধবার বিকালে তাঁকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এদিকে বাড়ি যাওয়ার পথে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসক এবং নার্সদের ডাকাডাকি করলেও তাতে কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। তখনই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। যদি শক্তিনগর হাসপাতালে ওই মহিলার সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব ছিল না তাহলে কেন তাঁকে অন্যত্র রেফার করা হল না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।