
কলকাতা: এসেছে প্রত্যাশিত জয়। ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। তারপরই গোটা দেশজুড়ে পদ্ম শিবিরে দেখা যাচ্ছে উল্লাসের ছবি। উড়ছে গেরুয়া আবির (BJP)। দিল্লির সদর দফতরেও উন্মাদনায় মাততে দেখা গিয়েছে নেতা-কর্মীদের। বাংলাতেও দেখা গিয়েছে কার্যত একই ছবি। দিকে দিকে দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি নিয়ে বিজয়োল্লাসে মেতেছেন পদ্ম সমর্থকরা। বিজয়োল্লাসের ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে ৬ মুরলীধর সেন রোডে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে গেরুয়া আবির মেখে মিষ্টিমুখ করতে দেখা যায় নেতা কর্মী সমর্থকদের।
দ্রৌপদীর জয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সদর দফতরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে বলেন, “যে সমাজ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, নিপীড়িত ছিল সেই সমাজের এক প্রতিনিধি আজ রাষ্ট্রপতি হলেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বিধায়ক হিসাবে, রাজ্যপাল হিসাবে। আজ এটা খুশির খবর।” অন্যদিকে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে কাঁকসার মলানদিঘি আদিবাসী পাড়ায় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি পদে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিতে এলাকার আদিবাসীদের সম্বর্ধনা দেয় যুব মোর্চা। সঙ্গে ধামসা মাদলের তালে চলে নৃত্য। হয় মিষ্টি বিতরণ। শিশুদের দেওয়া হয় চকোলেট।
দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত হতেই ধামসা মাদলের বোল শোনা যায় বাঁকুড়ায়। এদিন এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ধামসা মাদল তালে নাচে-গানে মেতে উঠতে দেখা যায় বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিজেপি নেতা কর্মীরদের। ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। উৎসবের আমেজ দেখা যায় পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও। একইসঙ্গে অকাল দীপাবলিতে মেতে ওঠেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি কর্মীরাও। বৃহস্পতিবার মহিষাদলের সিনেমামোড়ে জয় উদযাপনে বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল। গোটা মহিষাদল পরিক্রমা করে শেষ হয় দলীয় কার্যালয়েই।