Tapas Roy on Sudip Banerjee: ‘সুদীপের সঙ্গে না দেখা হলেই ভাল’, ফের গর্জন তাপসের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 29, 2022 | 7:05 PM

TMC: উত্তর কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতির বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়াকে কেন্দ্র করে।

Tapas Roy on Sudip Banerjee: সুদীপের সঙ্গে না দেখা হলেই ভাল, ফের গর্জন তাপসের
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস রায়।

Follow Us

কলকাতা: শাসকদলের দুই বর্ষীয়ান নেতা। তাঁদের আকচাআকচি যেন কিছুতেই আর কাটছে না। ফের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) নিশানা বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy)। তাঁর মন্তব্য, সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা সৌজন্য বিনিময়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন তিনি। তাঁর মন্তব্যের সবটাই দলের অনুগত সৈনিক হিসাবে, দলের মঙ্গলের জন্য। প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও বলবেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় বরানগরের এই তৃণমূল বিধায়কের মুখে। দুর্গাপুজোর সময় থেকে এই তরজা চলছে। কালীপুজোও কেটে গেল। তবে তাপস-সুদীপ সংঘাত কিছুতেই থামছে না।

শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস রায় বলেন, “ওনার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনও প্রশ্নও নেই। না দেখা হলেই ভাল। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রশ্নই নেই। আমার মা মারা গিয়েছেন একবার স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ ফোন বা মেসেজ করে খবর নেননি। তাঁদের সঙ্গে কিসের সৌজন্যতা। আমি দলটা করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। এখন দলের উঠতি নেতা ছাত্র যুবর আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি মনে করি আমরা যারা বয়জ্যেষ্ঠ তাঁদের নতুন প্রজন্মের প্রতি ভরসা করা উচিত। অভিষেকের উপর ভরসা করা উচিত।”

একইসঙ্গে তাপস রায়কে বলতে শোনা যায়, “আমার কোনও ক্ষোভ ছিল না, আজও নেই। আমি কিছু নৈতিক কথা বলেছি। ক্ষোভ রাজনৈতিক কর্মীদের থাকতে নেই। আমি ওসবে বিশ্বাস করি না। আমি একেবারেই দলের একজন অনুগত সৈনিক। আমি মমতার অনুগত, আমি তৃণমূলের অনুগত হিসাবে কিছু নৈতিক প্রশ্ন নীতির কথা বলেছিলাম দলের মঙ্গলের জন্য। এটা করতেই হবে। না হলে তো ক্ষতি হয়ে যাবে। দলের আর ক্ষতি আমরা যাঁরা আছি তাঁরা হতে দেব না। তবে আবার যদি এরকম কিছু দেখি আবার সরব হব।”

এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “আমি আবার একই কথা বলব। তৃণমূল কংগ্রেস একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ রাজনৈতিক দল। আমাদের একজনই নেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমাদের একজনই সেনাপতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কোথাও কোনও মান অভিমান থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে বলার জন্য যথাযথ জায়গা আছে। আর একই পরিবারে এক ছাতার তলায় ভাইবোনেরা একসঙ্গে থাকলে মান অভিমান হয়। কিন্তু তা প্রমাণ করে তাঁদের মধ্যে ভালবাসা কতটা গভীর। সম্পর্কে শীতলতা চলে এলে, মান অভিমান না থাকলে তো ভালবাসাও কম হতে থাকে।”

উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের গত কয়েকদিনের ‘বাকযুদ্ধ’ এখনও জারি রয়েছে। উৎসবের মরসুমে এই তরজা শুরু হয়। তবে মরসুম মিটতে চললেও কিছুতেই যেন তরজা থামছে না। উত্তর কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতির বাড়ির পুজোয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের শুরু।

এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন তাপস রায়। এরপরই পাল্টা সুদীপ বাক্যবাণ শানান তাপসের দিকে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার।” পাল্টা তাপস রায়ের বক্তব্য ছিল, “আমরা দলের ডোবারম্যান”। এখানেই থামেনি কথার লড়াই। জবাবে সুদীপ বলেছিলেন, “ডোবারম্যানে ম্যান থাকলেই তো আর মানুষ নয়। ডোবারম্যান তো কুকুরই।” সেই থেকে কথার যুদ্ধ চলছেই।

Next Article