
মুখের দাগছোপ ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু বিরক্তিকর। মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় দাগছোপ। হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু সেগুলো খুব বেশি কার্যকর হয় না। দাগছোপের কারণ না জেনে, কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করলে, তা সহজে ফল দেয় না। ত্বকের গভীরে এপিডার্মিস নামের একটি স্তর থাকে, যা মেলানিন উৎপন্ন করে। এটি ত্বকের রং ধারণ করে। মেলানিন সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ও রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু যদি এই মেলানিনের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন ওই অংশে দাগছোপ দেখা দেয়।
দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে মেলানিনের উৎপাদন বাড়ে। এছাড়াও একাধিক কারণে মেলানিনের মাত্রা বাড়তে পারে। আবার অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক প্রদাহের কারণে মেচাতার সমস্যা দেখা দেয়, যা দাগছোপ তৈরি করে। আবহাওয়ার কারণেও এমন দাগছোপ দেখা দেয়। কিছু-কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দেয়। ঠোঁটের চারপাশে, কপালের দু’পাশে যদি দাগছোপ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন।
লেবুর রস: লেবুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান রয়েছে এবং এটি ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। টক দই বা মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। এই ফেসপ্যাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং দাগছোপ কমে।
বেসন: সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বকের প্রাচীন টোটকা হল বেসনের ফেসপ্যাক। বেসন মুখের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং ত্বকের রং ফর্সা করে তোলে। বেসনের ফেসপ্যাকে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতে ব্রণ থকে দাগছোপ, ত্বকের যাবতীয় সমস্যা কমে যায়।
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের মধ্যে দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফর্সা করে তোলে। এটি ত্বকের কোষকে সুস্থ রাখে এবং অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমায়। তাজা পেঁয়াজের রস নিন। এতে অল্প জল মিশিয়ে নিন। এবার এতে তুলোর বল ডুবিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন।
আলু: আলুর মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা ত্বক থেকে দাগছোপ হালকা করতে সাহায্য করে। ব্রণর দাগ, পিগমেন্টেশন এবং র্যাশের দাগ দূর করতেও আলু সহায়ক। তাজা আলু কেটে মুখে ঘষতে পারে। এছাড়া আলুর রস বের করে নিয়ে মুখে মাখতে পারেন।