
টাটকা খাবারই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর। টাটকা খাবার খেলে পেটের গণ্ডগোল এড়ানো যায়। বাসি খাবারে ফুড পয়জন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে, সবসময় নয়। বাসি খাবার খেলেই যে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে, এমন নয়। অনেক খাবার রয়েছে, যার পুষ্টি বাড়ে বাসি খেলে। আবার অনেক সময় স্বাদও বেড়ে যায়। তবে, কোন খাবারগুলো বাসি খেলেও শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভাত: এক বাটি ভাত বেঁচে গেলে ফ্রিজে রেখে দেন। পরদিন ওটাই খেয়ে নেন। ভাত বাসি খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। বরং, বাসি ভাত ফার্মান্টেন্ড হয়ে যায়, যার মধ্যে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে। বাসি ভাত অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাছাড়া বাসি ভাতে ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা এই খাবারকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
রুটি: দু’টো বেশি রুটি হয়ে গেলে তুলে রাখুন। পরদিন সকালে বাসি রুটি খেতে পারেন। রুটি ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়ার ফলে এটির ভিটামিন ও মিনারেল শোষণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই ধরনের রুটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দই: দই বসাতে গেলে এক রাত্রি সময় চাই। আর টক দইতে যে প্রোবায়োটিক রয়েছে, সেটা এই ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি হয়। আর টক দইয়ের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেরই জানা। অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ভাল রাখার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে টক দই। এই খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
রাজমা: রাজমা ডাল রান্না করার আগে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। তবেই রাজমা ঠিকমতো সেদ্ধ হয়। পাশাপাশি ওভারনাইট ভিজিয়ে রেখে রাজমা খেলে এর পুষ্টি শোষণের ক্ষমতা বেড়ে যায়। এতে পেটের ফোলাভাব কমে। বদহজমের সমস্যাও সহজে এড়াতে পারবেন।
কিমচি: কোরিয়ার জনপ্রিয় পদ হল কিমচি। এটা সবজির তৈরি এক ধরনের আচার। মূলত ফার্মান্টেন্ড করেই তৈরি হয় কিমচি। তাই এতে প্রোবায়োটিকও পাওয়া যায়। আর কিমচির মধ্যে ভিটামিন এ, বি এবং সি, ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।